
যশোর অফিস : বুধবার ২৩ অক্টোবর রাতে যশোর সদরের পুলেরহাট বাজারে এক আলম সাধুসহ চালককে গতিরোধ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৬ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনের নামে মামলা হয়েছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে আহত নুরনবী বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিনোদকাটি গ্রামের আবুল খায়ের এর ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় গভীর রাতে উঠতি বয়সের দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছেন যশোর সদর উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন,একই উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের মৃত ইমামুল ইসলামের ছেলে অনিক হোসেন। অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে, মন্ডলগাতী গ্রামের হাফিজুর গাজীর ছেলে মইফুল,বেড়বাড়ী গ্রামের সাগর, একই গ্রামের বাবুর ছেলে তান ও রাজ্জাক ড্রাইভারের ছেলে পিচ্ছি মনা।
মামলায় নুরনবী উল্লেখ করেন,তিনি যশোরের বিভিন্ন জায়গায় আলমসাধু গাড়ী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সন্ত্রাসীরা পিচ্ছি মইফুল বাদির কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন জোর পূর্বক নিয়ে নেয়। বাদি প্রাণে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে উক্ত উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা বাদিকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে দ্রুত চলে যায়। তৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন বাদিকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর রাতে পুলিশ উল্লেখিত দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।