
যশোর অফিস : অবসর সময় কাটানোর জন্য নতুন এক বিনোদন কেন্দ্র যশোর শহরের দড়াটানা মোড়ে ভৈরব নদীর পাড়। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পার্ক হিসেবে উদ্ভোদন করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ হলেও পার্কটিতে নেই নদীর পার্শবর্তী নিরাপত্তা বেষ্টনী। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন ভিড় জমে উঠেছে সাধারণের পার্কটিতে। এরমধ্যে শিশু-কিশোরদের সংখ্যাও বেশি। ফলে যেকোনো সময় নদীর পানিতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে আসা দর্শনার্থীরা। ভৈরব নদীর পাড়ে গড়ে তোলা পার্কটিতে গিয়ে দেখা যায় কয়েকশ দর্শনার্থীর ভিড়। পার্কের গেট থেকে শুরু করে নদীর পার্শ পর্যন্ত বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। ছোট শিশু-কিশোরদের নিয়ে দিনের অবসর সময় কাটাতে এ পার্কটিতে ভিড় করেছেন অনেকেই। নদীর পাড়ে ধরে হাটতে-হাটতে এসেছেন বৃদ্ধরাও। শিশুরা খোলা পরিবেশে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। নদীর পাড় থেকে শিশুদের সাবধান করতে পিছু ছুটতে হচ্ছে অভিভাবকদেরও। পার্কটিতে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, সৈন্দর্য্যবর্ধন পার্কটিতে কোনকিছুরই কমতি না থাকলেও রয়েছে নদীর পাড়ের নিরাপত্তার ঘাটতি। শিশুদের ছোটাছুটি করতে করতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
পার্কটিতে পরিবার নিয়ে প্রথমবারের মতো ঘুরতে আসে আলম শেখ। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ঘুরতে এসেছি। এর আগে ছবিতে দেখেছি। পার্কটি অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে শিশুদের এখানে নিয়ে আসা ঝুঁকি। নদীর পাড়ের এই পার্কটিতে এখন পর্যন্ত কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই। শিশুরা ছোটাছুটি করতে করতে নদীর পানিতে পড়লে দূর্ঘটনা ঘটবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ভৈরব নদের দুইপ্রান্তে দড়াটানা ব্রিজ থেকে বাবলাতলা ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দড়াটানা ব্রিজ থেকে গরীবশাহ (র.) মাজার পর্যন্ত ২০০ মিটারে নদের পাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। যেটি মূলত এখন পাউবো’র পার্ক। আর এই কাজের জন্য ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে পার্কটির নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। পার্কটিতে নদীর পার্শবর্তী নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যায় ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এসএস পাইপ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করা হবে, যাতে করে নির্বিঘ্নে পার্কের দর্শনার্থীরা ও শিশুরা ঘোরাফেরা করতে পারে। বিশেষ দিন ব্যাতিত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে। জেলা প্রশাসনের সহোযোগিতায় পার্কটি সংরক্ষণ ও দেখভালের দায়িত্ব পাউবো পালন করছে।

