যশোর অফিস : এক বিধবাকে দীর্ঘদিন উত্যক্তসহ কু-প্রস্তাবের এক পর্যায় জোর পুর্বক যৌন নিপীড়নের এক পর্যায় জাপটে ধরার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার ৩০ জানুয়ারী বিকেলে মামলাটি করেন, সদর উপজেলার ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের চল্লিশোর্ধ ঐ বিধবা (৪০)। মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার বলরামপুর মধ্যপাড়া ৯নং ওয়ার্ডস্থ শ^শুর মৃত নওশের আলীর বাড়ি মৃত মান্নান মোল্যার ছেলে আমজেদ হোসেন। পুলিশ আমজেদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় বিধবা নারী উল্লেখ করেন, আসামী আমজেদ হোসেনের স্বভাব চরিত্র ভালনা। দুঃশ্চরিত্র ও লম্পট প্রকৃতির ছেলে। লম্পট আমজেদ হোসেনের বাড়ি বাদির বাড়ি থেকে থেকে ৩শ’ গজ দূরে। সেই সূত্র ধরে আসামী বাদির প্রতিবেশী। বাদির স্বামী বিগত ৮ বছর পূর্বে মারা যায়। বাদির দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বাদির মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় বাদি তার দুই ছেলে নিয়ে শ^শুর বাড়িতে বসবাস করে। লম্পট আজমেদ হোসেন দীর্ঘদিন বাদির যাতায়াতের পথে-ঘাটে এমনকি সুযোগ বুঝে বাড়ির আশ পাশে এসে প্রায় সময় উত্যক্তসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আসামী বাদিসহ তার সন্তানদের ক্ষতি করার হুমকী দিয়ে আসছে। গত ১৭ জানুয়ারী রাত ১১ টায় বাদি স্থানীয় ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে বাদি তার বাড়িতে আসে। ওই দিন রাত পৌনে ১২ টায় বাদি প্রকৃতির ডাকে দরজা খুলে বাড়ির বাইরে উঠানের বাথরুমে যায় বাথরুম থেকে বাইরে হওয়ার সাথে সাথে সেখানে ওৎপেতে থাকা লম্পট আমজেদ হোসেন পিছন দিক থেকে বাদিকে জাপটে ধরে অসৎ উদ্দেশ্যে বাদির শ্লীলতাহানী কারে। ওই সময় বাদির চিৎকারে বাদির জাসহ আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে পড়ে। এসময় লম্পট আমজেদ দৌড়ে অন্ধকারে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ লম্পট আমজেদ হোসেনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী আদালতে সোপর্দ করে।