যশোর প্রতিনিধি : যশোরে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ( খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে সফল ও শান্তিপূর্ণ হরতালে কর্মসূচির শুরুতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। পুলিশ বিনা উস্কানীতে হামলা চালিয়ে মহিলানেত্রীদের মারপিট করে। এ সময় এক প্রবাসী যুবদল পলাশকে ব্যাপক মারপিট করে আটক করে নিয়ে যায়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন ও জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। তবে সকাল থেকে হরতাল প্রতিরোধে রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে যশোরের পুলিশ প্রশাসন । আবার বিএনপির হরতালের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন যশোরের পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
ভোর ছয়টার পর থেকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে শহরের দড়াটানা মোড়ে হরতাল সমর্থনে মিছিল বের হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন ও জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বাধীন একদল পুলিশ সদস্য নেতাকর্মীদের ওপর বিনা উস্কানীতে হামলা করে। এ সময় পুলিশ সদস্য মহিলা দল নেত্রীদের লাঠিচার্জ করে। এসময় বেশ কয়েকজন মহিলা নেত্রী আঘাত প্রাপ্ত হন। এসময় পুলিশ সদস্যরা সিংগাপুর প্রবাসী যুবদল নেতা পলাশকে পেটাতে পেটাতে খালি গায়ে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের এমন মারমুখি আচারণের ভিডিও ধারণ করায় সংবাদকর্মী খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পরে জেল রোড এলাকায় হরতাল সমর্থনে মিছিল বের করলে,সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করে জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুলকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশ গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে। পরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের দৃঢ়তায় তিনি আটকের হাত থেকে রক্ষা পান।
তবে পুলিশের এমন ঐদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের মধ্যেও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে শহরে হরতালের সমর্থনে মিছিল হয়। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে জেলা রোড, এইচ এম রোড, কাঠেরপুল ব্রিজ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকায় মিছিল করেন।
এদিকে বিএনপির এই হরতালের সমর্থন জানিয়ে যশোর থেকে দুর পাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে মনিহার খুলনা বাস স্ট্যান্ড, খাজুরা বাস স্ট্যান্ড থেকে কোন রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। এসব এলাকা ঘুরে পরিবহন সংশ্লিষ্ঠ মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে এমনটি জানা যায়।
আবার শহরের এইচ এম এম রোড থেকে শুরু করে এমকে রোড আর এন রোড,মুজিব সড়ক এলাকায় গিয়ে অভিজাত শপিং কমপ্লেক্স ও বিপনী বিতানের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারাও হরতালের সমর্থনে নিজ থেকে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন।
এদিকে বিনা উস্কানীতে পুলিশের এমন তান্ডবের প্রতিবাদে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, পোশাক পরে অস্ত্র হাতে নিয়ে মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া যশোরের ইতিহাসে নজির বিহীন। পুলিশের এমন আচারণ ইতিপূর্বে যশোর বাসী দেখেনি। তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সাথে আমাদের লড়াই নেই। আমরা জনগণের ভোটাধিকার,সকল মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। এমনকি আমাদের এই আন্দোলন আপনাদেরও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার কৌশলে আপনাদেরকে আমাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও জনগণ বাঁচানোর এই শান্তিপূর্ণ হরতাল যশোর সাধারণ জনগণ বিএনপির আকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু তারপরও গতরাত থেকে পুলিশ আমাদের নেতাকর্র্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযান থেকে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবির সুমনসহ ৫০জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত স্বতঃস্ফর্ত ভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে সমর্থন দেওয়া তিনি যশোর বাসীকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
যশোরে হরতাল পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত
Leave a comment