
যশোর অফিস : যশোরে হামলায় একই পরিবারের বাবা, মা ও ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ সময় ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন, যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুরের বানিয়ালী গ্রামের শফিয়ার রহমানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম। মামলায় আসামি করা হয়, একই গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন খোকনের ছেলে শিমুল হোসেন, মৃত মালেক মন্ডলের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন খোকন, সহোদর লিটন হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন খোকনের স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ২জন। পুলিশ আসামি শিমুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিদের সাথে বাদির পুর্ব থেকে শত্রুতা চলে আসছে। শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বাদিসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট ও খুন জখম করার হুমকি প্রদানের সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আসামিদের পোষা একটি গরু বাদির বাড়িতে ঢুকে ঘাস খেতে থাকে। বাদি সুফিয়া বেগম গরুটি তাড়িয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদিসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করার হুমকি দেয়। ওই দিন বিকেল ৫ টা ৫৫ মিনিটের সময় সকল আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামি দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদির বাড়িতে প্রবেশ করে। বাদিসহ সদস্যদের অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাদির স্বামী শফিয়ার রহমান গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সাখাওয়াত হোসেন খোকনের হুকুমে ও সহযোগীতায় সকাল আসামিরা বাদির স্বামীকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে জখম করে। শিমুল ধারালো রামদা দিয়ে বাদির স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে ঘুরে দাঁড়ালে কোপ শফিয়ার রহমানের ঘাড়ের পিছনে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। সাখাওয়াত হোসেন খোকন একই ভাবে বাদির স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ মারলে স্বামী নিজেকে বাঁচানোর জন্য সড়ে দাঁড়ালে আঘাত লক্ষভ্রষ্ট হয়ে ডান বাহুতে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় বাদির স্বামীর ডাক চিৎকারে বাদির ছেলে আকিদুল ইসলাম (২৫) ঠেকাতে গেলে সকল আসামীরা তাকে এলোপাতাড়ী মারপিট কওে জখম করে। লিটন হোসেন রামদা দিয়ে ছেলৈ আকিদুল ইসলামকে খুন করার জন্য মাথায় কোপ মারলে ঠেকাতে গেলে কোপ বাম হাতের কনুই লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। লিটন হোসেন বাদির ছেলের পিঠে কোমরের কাছে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। বাদির স্বামী ও ছেলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত ইজিবাইক যোগে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আসামি শিমুল হোসেনকে গ্রফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।