পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান
যশোর অফিস : যশোরে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অপরাধ দমনে শুরু হওয়া পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানে গত চারদিনে এখন পর্যন্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ২৫৩ জনকে আটক ও চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়ের হয়েছে ১০৩টি মামলা।
বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পুলিশ সুপার বলেন, ‘চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস-মাদকের গডফাদার ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান চলছে। কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা শ্রেণি পেশার মানুষের বিরুদ্ধে এই অভিযান নয়।’
সম্প্রতি হঠাৎ করেই যশোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। গত দেড় মাসে ঘটে ১২টি হত্যাকাণ্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি অভিযানের প্রথমদিনেই আটক হন পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেল। তবে মিলনকে আটকের পর পুলিশের এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জনপ্রতিনিধিদের একাংশ। তারা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। আটক মিলন, ম্যানসেলসহ সংবাদ সম্মেলনকারী জনপ্রতিনিধিদের সকলে যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী।
এদিকে যশোরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও পুলিশের চলমান অভিযান নিয়ে রোববার সমকালে ‘পুলিশের অভিযান: যশোরে বিতর্কিত জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদে যশোর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে কথা বলায় বাহিনীর একাধিক টিম তাঁরসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি ও অফিসে হানা দিচ্ছে বলে বলেছিলেন। এমপি নাবিল অনুসারী জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে এমন বক্তব্য তিনি দেননি।