যশোর প্রতিনিধি : আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন। নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে এ দিন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ইতমধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে ৮জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হচ্ছেন বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন।
যশোর জেলা বিএনপির কাউন্সিল ২০২৫ উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। একই দিন নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার তালিকাও প্রকাশ করে। তফসিল অনুযায়ী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ করা হয়। একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রয়, বেলা ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। এদিন বেলা ২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিকেল ৪টায় বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবং ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোর মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দানের আলমগীর সিদ্দিকী হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ঘোষিত প্রার্থী তালিকা অনুসারে সভাপতি পদে দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, দলের সবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও যশোর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মারুফুল ইসলাম মারুফ দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩ টি পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন । এরা হচ্ছেন নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য পদত্যাগী সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম ও সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল বারী রবু।
নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক এ্যাড. মো. ইসহক জানান, জেলার সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির ১৬ টি সাংগঠনিক ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটির মোট এক হাজার ছয়শ’১৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে আগামী ২ বছরের জন্য তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। তবে ইতমধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে এক প্রার্থী হওয়ায় দেলোয়ার হোসেন খোকনের বিজয় সুনিশ্চিত। শুধু ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। ২২ ফেব্রুয়ারি তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশাবাদী।