এম সাইফুল ইসলাম
সারাদেশে জ্বালানী সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চলছে। খুলনায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দেয়ার পর চাহিদা বেড়েছে ফ্যান, চার্জার লাইট, আইপিএস ও পাওয়ার ব্যাংকের। চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।
সরেজমিনে নগরীর মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, চলতি লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ ফ্যান, চার্জার লাইট কিনতে ভিড় করছেন। মার্কেটের অন্য যে কোনো দোকানের তুলনায় ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকানে বেশি ভিড় লেগে আছে। আকারভেদে দোকানিরা চার্জার ফ্যান ৬০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে মার্কেটে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চার্জার লাইট বিভিন্ন রকমের দামে বিক্রি হচ্ছে।
হার্ডমেটাল গ্যালারিতে আসা মো: ইমরান হোসেন বলেন, প্রচন্ড গরম আর লোডশেডিংয়ের থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। অন্যদিকে যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারা কিনছেন আইপিএস। সকালে মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রনিকসের এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে দোকানি ইকবাল হোসেন বলেন, আমদানিকারকরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় তারাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি জানান, চার্জার জাতীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা। লোডশেডিংয়ে রমরমা চার্জার লাইট-ফ্যানের বাজার। শান্তিধাম মোড়ের ফুটপাতের বিক্রেতা রাজিব হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে বেচাবিক্রি বেড়েছে। তবে দাম তেমন বাড়েনি। ইলেকট্রনিকস বড় পণ্যের দাম বাড়লেও ছোট ছোট পণ্যের দাম তেমনটা বাড়েনি।’
পাওয়ার ব্যাংক কিনতে মার্কেটে গেছেন মো: তরিকুল। তিনি বলেন, লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এ সময়ে মোবাইল খোলা রাখতে পাওয়ার ব্যাংকের কোন বিকল্প নেই। এ জন্য পাওয়ার ব্যাংক কিনতে আসছি।
মুজগুনির বাসিন্দা আফরিন জারা বলেন, প্রচন্ড গরমে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তাই একটি আইপিএস বুকিং দিয়েছি। ৩৯ হাজার ৯০০ টাকার আইপিএসে তিনটি ফ্যান ও তিনটি লাইট দুই ঘণ্টা সার্ভিস দেবে। লোডশেডিংয়ের এ সময়টা এখন এভাবে চালাতে হবে।’
সোনাডাঙ্গার মো: তুহিন বলেন, লোডশেডিং এর সুযোগ ব্যবহার করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের উচিৎ বাজার মনিটরিং করা। যাতে কেউ সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে না পারে।
রমরমা ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজার
Leave a comment