লোহাগড়া প্রতিনিধি : আদালতের দেওয়া ১৪৪ ধারা অমান্য করে গত ২৬ আগস্ট দিবাগত রাত ও সকালে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত কাশেম মোল্যার ছেলে কৃষক ফরিদ মোল্যার ৮৮ শতক ফসলি জমিতে একই গ্রামের মৃত নান্নু মোল্যার ছেলে উতার মোল্যা ও তার লোকজন গাছ লাগিয়ে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিবাদমান জমিটি বংশানুক্রমে প্রায় ১শ’ বছর ফরিদ মোল্যার পরিবার ভোগ-দখল করে আসছে। বিগত মাঠ জরিপের পর মৃত নান্নু মোল্যার ছেলে উতার মোল্যা ৪টি ভূয়া দলিল তৈরির মাধ্যমে বিবাদির অজ্ঞাতে উপজেলা সেটেলমেন্টে কার্যালয়ে একটি আপিল মোকদ্দমা দায়ের করে গোপনে রায় প্রাপ্ত হন। জরিপ শেষে সম্প্রতি আরএস চুড়ান্ত তালিকায় উতার মোল্যার পিতা নান্নু মোল্যার নাম লিখিত হওয়ায় গত ৬ মে জমির ফসল বিনষ্ট করে দখলের ব্যর্থ চেষ্টা করে উতার মোল্যা ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। ফরিদ মোল্যার আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত জমির ওপর নড়াইলের বিজ্ঞ আমলী আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। অপরদিকে আরএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য ফরিদ মোল্যা যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে গত ২২ মে একটি রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার ন্যাস্ত হয় লোহাগড়া উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার ওপর। ফরিদ মোল্যা একজন সাধারন কৃষক ও নীরিহ প্রকৃতি এবং তার লোকবল না থাকায় তিনি গত ২৮ আগস্ট লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে উতার মোল্যার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি পুলিশি ভয়ে গা-ঢাকা দেওয়ায় পাওয়া যায় নি।
লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির পর সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। যেহেতু মালিকানা বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে রায় যে পক্ষ প্রাপ্ত হবেন তিনিই জমির মালিক। এ ঘটনায় আইনশৃংখলার অবনতি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
লাহুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরান শিকদার বলেন, বিবাদমান জমিতে গাছ লাগিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বারংবার অপরাধ করে চলেছে। অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।