যশোর অফিস : কুখ্যাত দখলবাজ শার্শার সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দীনের দখল থেকে মুক্ত হয়েছে প্রায় ৪১ একর (১২৩ বিঘার বেশি) জমি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্তে তথ্যবহুল একটি সংবাদ প্রকাশ ও সম্প্রচার হয়েছিল।
২০ অক্টোবর যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. নাজিব হাসান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন জমি দখলমুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যশোরের শার্শা উপজেলার হরিণাপোাতা মৌজার এক খতিয়ানে থাকা ৫৩ একর জমির মধ্যে সাবেক এমপি আফিল উদ্দীন জোরপূর্বক ৪১ একর জমি নিজের ভোগদখলে রেখেছিলেন।
বিভিন্ন দৈনিকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্টে জমির প্রকৃত মালিকানা, দখলদারদের অপতৎপরতা এবং স্থানীয় জনগণের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, একটি চক্র জাল দলিল ব্যবহার করে জমিটি দখল করে রেখেছিল।
এদিকে,জমি দখলমুক্ত হওয়ায় খুশি হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। জমি উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা জানান,দখলদারদের কারণে এলাকা কৃষি ও মাছচাষ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। দখলমুক্ত হওয়ায় স্থানীয় গরিব মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
শার্শা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা আহসান হাবিব খোকন বলেন, সরকারি জমি জোর করে সাবেক এমপি আফিলসহ তার লোকজন দীর্ঘ ১৬ বছর ভোগদখল করেছেন। বুধবার প্রশাসনের সহায়তায় আমরা রাহুমুক্ত হয়েছি। এটি নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষের জন্যে সুখবর।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহাবয়ক হাসান জহির বলেন,বিনা ভোটের এমপি শেখ আফিল দীর্ঘদিন ধরে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার ক্যাডার বাহিনীর
এদিকে,প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর জেলা প্রশাসন, ভূমি কার্যালয় এবং শার্শা থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড.নাজিব হাসান বলেন, একটি ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় জমি দখল সংক্রান্ত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। রিপোর্ট প্রকাশের পর আমরা জানতে পারি, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এই জমি অবৈধভাবে দখল করে একটি চক্র ভোগদখল করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আজ তা দখলমুক্ত করেছি। শার্শা উপজেলা ব্যাপি সরকারের এক খতিয়ানে যত অবৈধ জমি দখল নিয়ে আছে, এই সমস্ত জমিগুলা সব দখলমুক্ত করবার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।