জন্মভূমি ডেস্ক : যশোরের শার্শার পুটখালী ও পাঁচভুলট সীমান্ত এলাকা থেকে মোঃ সাবুর আলী(৩৫) ও জাহাঙ্গীর কবির (৩৭) নামে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশও বিজিবি । ১৮ ই ডিসেম্বর ভোর রাতে পুটখালী সীমান্তের চরের মাঠ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানাধিন দিঘীরপাড় উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে মোঃ সাবুর আলীর লাশ পাওয়া যায়। উপর দিকে পাঁচভুলট সীমান্ত এলাকায় মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২আর পিলার হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত শূন্য লাইন হতে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে একই থানার কাগজপুকুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোঃ ইউনুস মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর কবির এর লাশ উদ্ধার করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ২১ বিজিবি সদস্যরা। এ ব্যপারে জাহাঙ্গীর কবির এর ভাই বলেন আমার ভাই ১৫ বছর ধরে ভারত থাকেন সেখানকার মেয়েকে বিয়ে করে ঐ দেশের নাগরিক হয়ে বসবাস করে, তার একটি কন্যা সন্তান আছে। সে কয়দিন আগে ভারত থেকে বাড়ি আসে, গতরাতে সে ভারতে যাওয়ার সময় এ ঘটনাঘটে।
সাবুর আলীর স্ত্রী হাসি বেগম বলেন, একজন আমার বাড়িতে এসে খবর দেয় যে পুটখালী আমবাগানে আমার স্বামীকে মেরে ফেলে রেখে গেছে। পরে আমি একটি ইজিবাইক নিয়ে সেখানে যেয়ে দেখি আমার স্বামী মটিতে পড়ে আছে, তখন তাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথের মধ্যে তিনি মারা যান। তিনি আরও বলেন আমার দুটি কন্যা সন্তান আছে। আমার সংসারে একমাত্র আয়ের উপার্জন ব্যক্তি ছিলেন আমার স্বামী। এখন আমার এই বাচ্চা দুইটা নিয়ে কিভাবে চলবো।
তবে স্থানীয়রা বলছেন তাদেরকে ভারতীয় বিএসএফ পিটিয়ে মেরে ফেলে রেখে গেছেন বাংলাদেশ সীমান্তে।
২১বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল খুরশীদ আহমেদ জানান, সকালে পাঁচভুলট মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২আর পিলার হতে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে মরদেহটি উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে ছিলো। মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিভাবে মরদেহটি এখানে আসলো এবং কিভাবে হত্যাকান্ড ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
শার্শা সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
Leave a comment