জন্মভূমি ডেস্ক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শেখ রাসেল ছিলেন নিষ্পাপ ফুলের মতো একজন শিশু। ছোটবেলা থেকেই তার মানসিকতায় ছিল মেধা ও মননের সমাহার। দীপ্তিময়, নির্মল, নির্ভীক ও দুর্জয় রাসেলের মন ছিল মানবিকতায় ভরা। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুকে শেখ রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন কারা অন্তরীণ থেকেছেন। এসময় ৮-১০টি শিশুর মতোই বাবার সান্নিধ্য পেতে চাইতেন রাসেল। তাই বাবাকে দেখতে রাসেলকে কারাগারে যেতে হতো। ঘাতকেরা মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শিশু রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন এবং শিশুদের পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হওয়ার অনেক আগে থেকে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
স্পীকার বলেন, শিশু হত্যাকে কোনোকিছুর বিনিময়েই সমর্থন করা যায় না। ১৯৭৫ সালের বিভীষিকাময় সেই রাতে কোন রাজনীতির অংশ না হয়েও ঘাতকের বুলেটে কোমলমতি শিশু রাসেলকেও প্রাণ দিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে মুক্তচিন্তা নিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করে সহিংসতামুক্ত পরিবেশে নিরাপদে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আজকের শিশুরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। এসময় তিনি শেখ রাসেলেন স্মরণে থিম সং, শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে হুইপ ইকবালুর রহিম, মো. আব্দুস শহীদ এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, নাহিদ ইজাহার খান এমপি ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।