
জন্মভূমি ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে শেখ হাসিনা যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশে না ফিরতেন, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরত না।’
রোববার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ নামে সাত খণ্ড বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিল, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন যে, আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়ব। আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম। বিমানবন্দরে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি, বিমানবন্দর থেকে যখন তিনি আসছিলেন, তখন রাস্তার দুই ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ চলে আসল শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি। বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেফতার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিল তা নয়, তাকে গ্রেফতারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমণ্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি। বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন-তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও প্রচণ্ড সংকটে ধৈর্য হারাননি।’