
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে গোলাম হোসেন (৬০) নামের এক ঘেরব্যাবসীকে ব্যক্তিকে হত্যা করা করেছে। নিহত গোলাম হোসেন একই এলাকার মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের জাবাখালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরিসহ চারজনকে আটক করে।
নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান জানান,তাদের দীর্ঘদিনের পায়ে চলা রাস্তা সম্প্রতি বন্ধ করে দেয় প্রতিবেশী ইমান আলী মোড়ল ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে তার পিতা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করায় প্রতিপক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার পিতা বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাদানুবাদে জড়ায়। এক পর্যায়ে এমান আলীর ছেলে সাইফুল, ফরুক, সেলিম ও বদরুদ্দীনের ছেলে রেজাউল ধারালো অস্ত্র ও ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার পিতাকে জখম করে। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহতের বন্ধু আব্দুর রশিদ জানান , চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেয়া হলেও এমান আলী ও তার লোকজন নির্ধারিত দিনে পরিষদে অনুপস্থিত ছিল।
বিষয়টি নিয়ে গোলাম হোসেন প্রশাসনের দারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিল। সে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজন আত্মসমপর্নকৃত বনদস্যু সিরাজুলের ভাই।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাঃ সাকির হোসেন জানান, নিহতের পিঠ, বুক, কাঁধসহ শরীরের চারটি স্থানে ছুরিকাঘাত ও কোপের চিহ্ন মিলেছে। লোহার রড দিয়ে আঘাত করারও প্রমান মিলেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পিয়ার উদ্দীন জানান, হত্যাকান্ডের পরপরই স্থানীয়রা অপরাধীদের ধাওয়া করে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে ফেলে। ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল, সেলিম, ফারুক ও রেজাউলকে আটকের পাশাপাশি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।

