সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর :সাতক্ষীরা জেলার একমাত্র উপজেলা শ্যামনগরে ৭০ শতাংশ জমিতে চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে ।২০২৪ সালের চিংড়ি মৌসুম ৩০শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছে বর্তমান ২৫ সালে নতুন করে চিংড়ি চাষ করার জন্য চাষিরা এর পরিচর্যা ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে চিংড়ি চাষিরা দ্রুত ঘের পরিচর্যা করলেও মাদার সংকটের কারণে রেনু পোনা পাইতে এবার বিলম্ব দেখা দিয়েছে ।কক্সবাজারের একটি প্রভাবশালী বাগদা চিংড়ির রেনুপনা হ্যাচারীর স্বত্বাধিকারী মনিরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান বর্তমান সুন্দরবনের ও বঙ্গোপসাগরে মাদার সংগ্রহ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে ।সে কারণে ২৫ সালের চিংড়ি পোনা উৎপাদনে বিলম্ব হতে পারে
সেই ক্ষেত্রে চিংড়ি চাষিরা মারাত্মক বিরাম্বনার শিকার হতে পারে এছাড়া রেনুপনা ঘেরে ছাড়াই বিলম্বের কারণে শ্যামনগরের চিংড়ি চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে,। সূত্রে আরো জানা যায় এবার রেনু পনার জন্য অপেক্ষা করা লাগবে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত ইতিমধ্য বিভিন্ন পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারী জানিয়েছে ফেব্রুয়ারির শেষে পোনা ফেলে মার্চের মারাত্মক তাপ দাহে মাছের মোরগ দেখা দিতে পারে সে কারণে শ্যামনগরের চিংড়ি চাষিরা এবার মনে হয় বিপাকে পড়তে যাচ্ছে্।
শ্যামনগর উপজেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় ছোট বড় প্রায় সাড়ে তিন হাজার চিংড়িঘের রয়েছে শ্যামনগর উপজেলায় ২০২৫ সালের মৌসুমের প্রথমে নতুন করে চিংড়ি চাষ করার জন্য এর মালিকর নিরলস ভাবে ঘের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে
তবে সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি পোনা সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বাবলা জানান মনে হয় দূরত্বই চিংড়ি পোনা উৎপাদন হতে পারে মাদার সংকট থাকলেও আবুল কালাম বাবলার মতে সব হ্যাচারিতে মাদার সংকট নেই
তিনি আরো বলেন অনেক হ্যাচারীর পোনা ইতিমধ্য বাজারে এসেছে কিন্তু দাম আগুন ছোঁয়া তাকে নিয়ে চিংড়ি চাষিরা লাভবান হওয়া অতি কঠিন বলে মনে করছেন। দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি হবে কারণ কোন হ্যাচারি মাদার সংগ্রহ করতে পেরেছে আবার কোন হ্যাচারি মাদার সংগ্রহ করতে পারেনি। সে কারণে সব হ্যাচারি গুলো পোনা সাপ্লাই দিতে না পারায় রেনুর দাম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি হতে পারে। সাতক্ষীরা শ্যামনগরে প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি ্ রেনু পোনার
প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে৮০ কোটি পোনা কক্সবাজার থেকে সরবরাহ করা হয় এবং ১৮ কোটি রেনুপনা
স্থানীয় হ্যাচারীগুলো থেকে উৎপাদন হয়ে থাকে বাকি দু’কোটি রেনুপনা
স্থানীয় নদী থেকে সংগ্রহ করা হয় ।
শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি গ্রামের জাকির হোসেন জানান তার ২০০ বিঘার ঘের বর্তমান নতুন করে পোনা দেওয়ার জন্য পরিচর্যা করছে ।তিনি বলেন যদি কোন সংকট হয় সে কারণে মারাত্মক বিপদে পড়বেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন ২০২৪ সালে তার চিংড়ি ঘের থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে সে কারণে তার ইচ্ছা ২০২৫ সালে অধিক লাভের আশায় দ্রুত ঘের পরিচর্যা করছেন এবং দশ দিনের ভিতরে তিনি তার চিংড়ি ঘেরে নতুন করে পানি উত্তোলন করবেন বলে মনে করছেন তবে যদি রেনূর সংকট হয় তাহলে দ্রুত পানি তলা কোন প্রয়োজন মনে করছেন না তিনি।
শ্যামনগর উপজেলার আটলিয়া গ্রামের ওসমান গনি তিনি জানান তার ৫৪ বিগে জমির একটি চিংড়িঘের রয়েছে যে ঘের থেকে
তার সাতজন মানুষের সংসার চলে তিনি বলেন বছরে কত লাভ হয় তা তার জানা থাকে না বাগদা উত্তোলন করে এবং অন্যান্য ফেরার খরচ মেইনটেইন করেন আর নিজের সংসারে ব্যয় করেন তিনি বলেন যদি এবার মাদার সংকটের কারণে রেনুপনা পেতে বিলম্ব হয় তাহলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন সে কারণে তিনি বের হয়েছেন
তার কাজ শেষ করে এখন রেনুফোনার জন্য অপেক্ষা করছেন প্রতিনিয়ত চারিদিকে খোঁজ নিচ্ছেন রেনু পোনা কখন আসবে কখন হ্যাচারীরা পোনা সাপ্লাই দিবে। তিনি আরো জানান চৈত্র বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ এই তিন মাস বাগদা চিংড়ির মোড়কের সময় মোড়কের আগেই যদি এক দফা মাছ উত্তোলন করতে নাপারে তাহলে লাভবান হতে পারবে না আর তাই যদি না পারে তাহলে বাগদা চিংড়ির মোরকে পড়তে হবে যার কারণে চিংড়ি ঘেরে ২০২৫ সালে লাভবান হওয়া মনে হয় সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বকালীনগর গ্রামের অরুণ কুমার সদ্দার জানান তার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামে তার এক শো দীঘা রয়েছে বর্তমানে সেটিশুকিয়ে নতুন করে পরিচর্যা করছেন ২০২৫ সালের নতুন করে চিংড়ি চাষ করার জন্য ।
তিনি জানেন না এবার মাদার সংকটের কারণে বাগদা চিংড়ি রেনু পেতে বিলম্ব হবে। তিনি এই প্রতিপাদকে জানান গত ২০২৪ সালে তার এই চিংড়ি ঘের থেকে তেমন কোন লাভ করতে পারেনি তবে এই ১০০ বিঘের ঘেরের সম্পূর্ণ মালিক তিনি নিজে কাউকে হাড়ের
টাকা দেওয়া লাগেনা সে কারণে লাভ লস অরুণ সর্দার তেমন একটা আমলে নিচ্ছে না কারণ চিংড়ি চাষ না করে তার আর কোন চাষ করার মতো পরিবেশ নেই কারণ তার ঘেরের পাশে ভিন্ন মানুষের চিংড়িঘের যদি আশপাশে অন্য কোন মানুষের চিংড়ি ঘের না থাকতো তাহলে অরুন কুমার সর্দার ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতেন বলে জানিয়েছেন।
অরুণ সরদার বলেন চিংড়িঘেরে লাভ না হলেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে চিংড়ি চাষ করে যাচ্ছি কারণ এই ছাড়া তার জন্য আর বিকল্প কোন পথ খোলা নেই সাতক্ষীরার উপকূলীয় এই শ্যামনগর উপজেলায় বর্তমান চারিদিকে তাকালে শুধু চিংড়িঘের আর ঘের কেউ ঘরের ভেড়ির মাটি দিচ্ছে কেউবা জংড়া ঘটছে কেউবা চিংড়ি ঘেরের ঘর মেরামত করছে কেউবা আবার কোলগেট তৈরি করছে তবে দেরিতে বাগদার পোনা পাওয়া যাবার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে চাষীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে যতদিন পর্যন্ত ঘেরে চিংড়ি পোনা না দিতে পারবে ততদিন পর্যন্ত তাদের মধ্য এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করবে রেনু ছাড়তে পারলে বেশ কিছুদিনের জন্য চিংড়ি চাষিরা নিশ্চিন্তায় অন্য কাজকাম সেরে নিতে পারে আর যদি সময় মতো চিংড়ি না দিতে পারে তাহলে তাদের সকল কাজ বাদ রেখে চিংড়ি পোনার অপেক্ষায় দিন গোনতে হয়।
শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষী আব্দুর রহিম জানান তার ৭৩ বিঘা জমির একটি চিংড়ি ঘর রয়েছে যে ঘরের উপর তার নয়জন মানুষের সংসারের আয় ব্যয় নির্ভর করে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরে তিনি ঘেরের পানি ফেলে দিয়ে ঘের শুকিয়ে নতুন ভাবে পরিচর্যা করছেন আগামী এক সপ্তার মধ্যে ৌ তিনি ঘেরে নতুন করে পানি তুলবে। মাদার সংকটের কারণে বাগদা রেনুপনা পেতে এবার বিলম্ব হবে একথা উনি মানতে রাজি না আব্দুর রহিমের মতে কোন না কোন হ্যাচারি পোনা উৎপাদনে আসবে এবং অতি তাড়াতাড়ি সেই সমস্ত হ্যাচারীর পোনা বাজারেও বাজার জাত করবে।
তিনি আরো জানান তার ঘেরের পোনা শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর থেকে সংগ্রহ করে থাকেন তিনি মনে করছেন যথা সময়েপোনা পাওয়া যাবে। শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার জানান শ্যামনগর
উপজেলায় ছোট বড় প্রায় সাড়ে তিন হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে মাদার সংকটের কারণে পোনা ছাড়তে চিংড়ি চাষীদের এবার একটু বিলম্ব হতে পারে বলে তার কাছে এমন একটি খবর আছে ।তবে খবরটি সঠিক কিনা সেটা চিংড়ি পোনা
ব্যবসায়ের সাথে যারা জড়িত তারাই ভালো বলতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন নতুন করে ঘের শুকিয়ে বিভিন্ন চিংড়ি চাষিরা এর পরিচর্যা এবং কিভাবে চিংড়ি ছাড়বেন কিভাবে পোনা পরিচর্যা করবেন সে বিষয়ে প্রতিদিন চাষিরা নিয়মিত আমাদের অফিসে আসছে আমরা তাদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছি এবং পরামর্শ দিচ্ছি যদি চিংড়িতে মোরগ লাগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা চিংড়ি চাষীদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিব ।এ ব্যাপারে কক্সবাজার এলাকার কয়েকজন চিংড়িপনা উৎপাদনকারী হ্যাচারী মালিকদের কাছ থেকে জানা যায় মাদার বাগদা সংগ্রহের জন্য বঙ্গোপসাগরে জাহাজ এবং ট্রলার নিয়মিত পড়ে রয়েছে মাদার না পাওয়া গেলে চিংড়ির রেনুপনা তে এবার মারাত্মক সংকটে পড়তে হবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে অন্য একটি সূত্রে জানিয়েছে কক্সবাজার বাগদা চিংড়ি পোনা হ্যাচারী মালিকগণ সমিতি করেছে সমিতি করে মাদার সংকট বলে বিভিন্ন অজুহাত চলছে রেনু দাম বাড়ানোর জন্য ।সূত্রটি আরো বলেন প্রতিবছরই কক্সবাজার হ্যাচারীরা মাদার
সংকটের অজুহাত দেখায় কিন্তু সময় মত বাজারে পোনা সরবরাহ করে থাকে এবারও প্রতিবছরের মতো সময় মত ঠিকই কক্সবাজার হ্যাচারীর মালিকরা বাগদা রেনুপনা বাজারে সরবরাহ করবেন ।এই সূত্রের সাথে একমত পোষণ করেছেন শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন বাগদার ব্যবসায়ী মালিকরা ।তাদের ধারণা একটাই সময় মত বাজারে ঠিক বাগদার পোনা সাপ্লাই দেবে। কক্সবাজার হ্যাচারি থেকে স্থানীয় হ্যাচারি গুলো দ্রুত মাদার সংকটের জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারে ওসান হ্যাচারীর স্বত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ জানান তার হ্যাচারিতে ২৫ সালের পোনা উৎপাদনের জন্য মাদার সংকটের কারণে এখনো পর্যন্ত কোনো কাজ এগোতে পারেনি তিনি বলেন যদি মাদার সংকট হয় তাহলে এবার চিংড়ি রেনু উৎপাদনে বিলম্ব হবে আর তাতে চিংড়ি চাষিরাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত হতি দেবেনা বলে আব্দুল আজিজ মাদার সংকটের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে তিনি আরো বলেন মাদার সংকটের কারণে শুধু চিংড়ি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না হ্যাচারি মালিকরাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ হ্যাচারিতে যারা পোনা উৎপাদনের দায়িত্বে চাকরি করেন তাদের এক একজনের বেতন অনেক বেশি চিংড়ি উৎপাদন না হলে তাদের বেতন টেনে যেতে হবে হ্যাচারি মালিকদের ।
তিনি আরো বলেন প্রতিদিন তার হ্যাচারীতে খাওয়া-দাওয়া কর্মচারীর বেতন দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ আছে অথচ উনার কোন সরবরাহ নেই খরচ ঠিকই টেনে যেতে হচ্ছে তাই তিনিও চান তাড়াতাড়ি মাদার সংকটের সমাধান হোক চাষীরাও মাছ চাষে স্বাবলম্বী হোক হ্যাচারি মালিক রাও পোনা সরবরাহ করে লাভবান হউক কথা হয় বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের াখালী গ্রামে নিউ যমুনা হ্যাচারীর স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমানের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন ভাই এবার মহা সমস্যা কারণ মাদার সংকটে পড়েছি এখনো পর্যন্ত মাদারবাদদার কোন সম্ভাবনাই দেখছি না যার কারণে কি নাগাদ পোনা উৎপাদন হবে নির্দিষ্ট করে কোন কিছু বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন কক্সবাজার থেকে মাদার সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয় সেখান থেকে এবার দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছে মাদার সংকটের কথা আমরাও যারা প্রতিবছরৌ যাদের কাছ থেকে মাদার দেয় তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে চলছি যত দ্রুত মাদার বাগদা
সংগ্রহ করা যায় তত তাড়াতাড়িহ্যাচারি মালিকরাও লাভবান হবে চিংড়ি চাষিরা ও দ্রুত -ঘেরে পোনা দিয়ে তাড়াতাড়ি চিংড়ি উত্তোলন করতে পারবে।
কথা হয় বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের ধাতিনা খালি গ্রামের আরব হ্যাসারীর স্বত্বাধিকারীর সাথে তিনি জানান সব হ্যাজারীর খবর একই মাদার সংকট দ্রুত মাদার সংকট হয়ে গেলে সংকট নিরসন হলে অতি দ্রুত বাজারে বাগদার রেনুপনা সরবরাহ করতে পারব সেজন্য আমরা মাদার সংগ্রহের জন্য নিয়মিত কক্সবাজারে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।
তার ধারণা অতি শিগগিরই মাদার সংকটের বিষয় নিরসন হয়ে যাবে কারণ মাদার সংগ্রহের জন্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জাহাজে এবং ট্রলারে মাদার সংগ্রহের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মদ রনি খাতুন বলেন এই এলাকার মানুষের একমাত্র উপার্জন চিংড়ি চাষ সেই চিংড়ি চাষে যদি রেনুপার কারণে ভিন্ন ঘটে তাহলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাই এই অসুবিধা অতি দ্রুতই কেটে যাবে বলে তিনি জানান তিনি আরো জানান হ্যাচারীর মালিকরা যাতে অতি দ্রুত বাজারে রেনুপনা সরবরাহ করতে পারে সেজন্য সরকারি কোন সহায়তার প্রয়োজন হলে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব যাহাতে এই এলাকার মানুষের একমাত্র রুজি উপার্জনের পথ চিংড়ি চাষ তাই এই চিংড়ি চাষের জন্য যত প্রকার সহযোগিতা করার দরকার উপজেলা নির্বাহী অফিস সহ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সহায়তা করা হবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এই প্রতিবেদককে জানান সাতক্ষীরার চিংড়ি বাংলাদেশ সহ বহির্বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছেএবং বছরে শুনেছি ২৮ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি সাতক্ষীরা থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে । তাতে সাতক্ষীরা র চিংড়ি সম্পদ বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে প্রতিবছর রেকর্ড পরিমান রাজস্ব আয় করছে সরকার। কিন্তু এখানে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিংড়ি চাষে ভাইরাস এই ভাইরাস নিরেশনের এখনো পর্যন্ত কোন গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ তৈরি হয়নি। সে কারণে সাতক্ষীরার চিংড়ি চাষিরা প্রতিবছর চিংড়ি মোড়কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি যোগদান করার পর বিভিন্ন মাধ্যমে চিংড়ি চাষীদের এই সমস্ত অসুবিধার কথা শুনতে পেয়েছি এবং বিভিন্ন মিটিং সেমিনারে বাগদা চিংড়িতে মোড়কের কথা শুনিয়ে আসছি সেজন্য অতি শীঘ্রই সরকারের উদ্বোধন মহলে অভিহিত করব যাহাতে সাতক্ষীরার এই লোনাভানের খ্যাত চিংড়ি চাষে চাষিরা যেন চিংড়ির মোরগ থেকে রেহাই পেয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে।