সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : শ্যামনগরে সন্ত্রাসী কর্তৃক সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি লুটপাট অগ্নিসংযোগ সহ নানা অপরাধের চিত্র শ্যামনগর উপজেলার জনবান্ধব সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুন ও শ্যামনগর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন সাহেবের নির্দেশে পরিদর্শন করেন শ্যামনগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম সহ পুলিশের একটি দল সেখান থেকে বিভিন্ন আলামত ও ছবি সংগ্রহ করেন,,, এবং শ্যামনগর থানার পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম এলাকার লোকজনের উদ্দেশ্যে বলেন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে কোন ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না কেউ ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করলে বা কেউ ক্ষয়ক্ষতি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ থাকলে সেটা আইনের আশ্রয় নিতে হবে তাই বলে তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট করা যাবে না ,। এ পর্যন্ত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে যারা ভাঙচুর লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম। এছাড়া স্থানীয় গ্রামবাসীকে বলে যান যদি কেহ সাংবাদিক ইসলামের বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি করে এবং ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাৎক্ষণিক আপনারা শ্যামনগর থানায় অথবা ৯৯৯ তে ফোন দিয়ে অবহিত করবেন। উল্লেখ্য গত পাঁচই আগস্ট সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ঢাকাতে চিকিৎসাধীন থাকায় এবং তার পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকায় এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাম্য অভ্যন্তরীণ কোন দলের কারণে সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন গাজী পিতা-মৃত্যু এন্তাজ গাজী এর নেতৃত্বে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে প্রথমে ডাকাতি করে স্বর্ণালংকার নগদ টাকা সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায় পরে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়, ডাকাতিও ক্ষয়ক্ষতি করার পরিমাণ অন্তত আড়াই কোটি টাকা সম্পদ। এর আগে ১৬ জুলাই ২০২৪ উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারে সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টার দিকে হত্যার চেষ্টা চালায় তৎকালীন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে খুব খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তাররা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অবস্থার অবনতি দেখে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাট করেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অবস্থার মারাত্মক অবনতি দেখে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন, ঢাকা মেডিকেলে রোগীর চাপ বেশি থাকায় ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন, সেখানেই সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে শরীরে নয়টি ফ্যাকচার ধরা পড়ে এবং সেখানেই সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অপারেশন সহ যাবতীয় চিকিৎসা হয় এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম। এ ব্যাপারে ২৫শে জুলাই ২০২৪ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সে কারণে হত্যা চেষ্টামামলার আসামি সহ সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন বাহিনী এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে পাঁচই আগস্ট গণঅভ্যতার পর ঐদিন রাত আনুমানএগারোটার দিকে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করেন, সেখানেও থেমে থাকে নি। পরে সেখান থেকে প্রতিনিয়ত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির ঘরের জানালা দরজা গেট গিরিল খুলে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মাননীয় পুলিশ মহা পরিদর্শক আইজিপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এরপরে শ্যামনগর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মোছাম্মৎ রনি খাতুন ও শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন সাহেবের নির্দেশে শ্যামনগর থানার পুলিশ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িটি পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন ও ভিডিও ফুটেজ নেন এছাড়াও শ্যামনগর থানার পুলিশ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িটি নজরদারিতে রাখবেন বলে জানিয়েছেন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরমোল্লা।