শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্যামনগর থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে আদালতে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ জুলাই বনবিভাগ বিএলসি নবায়নে ৩৪ টাকা সরকারি রাজস্থলে এক হাজার টাকা ঘুষ বানিজ্য করছিল এছাড়াও জুন জুলাই আগস্ট ৩ মাস সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুম হিসেবে মাছ কাঁকড়া পর্যটন পর্যন্ত প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও অসাধু বনরক্ষীরা টাকার বিনিময় হাজার হাজার বনজীবীকে সুন্দরবনে ঢুকিয়ে বিষ প্রয়োগ সহ নানা অপরাধে লিপ্ত করে এরই প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক সাত নদী খুলনা থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক দৈনিক জন্মভূমি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আমার সময় ঢাকা থাকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ভোরের পত্রিকা ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সকালের আলো পত্রিকা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ফলাও ভাবে খবর প্রকাশ করে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তৎকালীন সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে তার ভাড়াটিয়া বন বিভাগের দালালদের দিয়ে ২০২৪/১৬ জুলাই বিকাল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে হত্যার চেষ্টা চালায়,, শ্যামনগর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে খুব খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে মুহূর্তের মধ্য সাতক্ষীরা মেডিকেলে রেফার্ড করেন, সাতক্ষীরা মেডিকেলের কর্তব্যরত ডাক্তাররা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে তার অবস্থার মারাত্মক অবনতি দেখে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে রেফার্ড করেন সেখানেই সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের শরীরে নয়টি ফ্যাকচার ধরা পড়েন সাতটি অপারেশন হয়েছে বাকি দুটি অপারেশন রয়েছে কারণ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে কন্ট্রোল করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অপারেশন দুটি করা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মোজাম্মদ রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২৫ জুলাই শ্যামনগর থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে শ্যামনগর থানার মামলা নম্বর ২১ তারিখ ২৫/৭/২৫ ও জি আর ২৪৩ /২৪ এই মামলায় দীর্ঘদিন চার্জশিট না দেওয়ার জন্য সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হাসান চৌধুরীর প্রভাবে ও আসামিদের প্রভাব বিস্তারের কারণে শ্যামনগর থানার পুলিশ অভিযোগ পত্র দিতে নানান গরি মাসি করছিল অবশেষে ভিকটিম পুলিশের আইজিপি মহোদয় খুলনা ডিআইজি মহোদয় ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম মহোদয়ের কাছে বিষয়টি অবহিত করলে তাদের হস্তক্ষেপে অবশেষে শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক এস আই আব্দুর রহিম শেষমেষ ২৯ শে মার্চ ২০২৫ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন উনি একজন আসামিকে নাম ঠিকানায় না মেলায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে পুলিশ বাদী ও ভিকটিমকে জানিয়েছেন বাকি ১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আলাদা চাঁদসেট দাখিল করেছেন শ্যামনগর থানার অভিযোগ পত্র নাম্বার ৭০/২৫/ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/৩৭৯/প্যানেল কোড ১৮৬০ এই মামলায় আসামিরা মাননীয় আদালতকে মিথ্যা মামলা বলে ভুল বুঝিয়ে জামিন নিয়েছিল মাননীয় আদালত অভিযোগ পত্র দাখিল পর্যন্ত আসামীদের জামিন দিয়েছিল বর্তমান চার্জশিট আদালতে গিয়েছেন ধার্য দিনে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জামির নাম মঞ্জুর হয়ে কারাগারে যেতে হতে পারে বলে বাদী ও ভিকটিমের আইনজীবী তাৎক্ষণিক এক প্রক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত এই মামলায় জামিন না নিয়ে অনেক আসামী পলাতক আছে। এখনো পর্যন্ত উপরোক্ত মামলার আসামিরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে বারবার মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, গত ৫ই আগস্ট সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ঢাকায় হসপিটালে ভর্তি এবং চিকিৎসায় থাকায় এই সমস্ত আসামিরা ওই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ৫আগস্ট রাত আনুমান দিকে বাড়ি যাবতীয় মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় এবার সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের সবকটি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ছাই করে দেয় টাকা স্বর্ণালংকার সহ প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ডাকাতিঅবি নষ্ট করে দেয়, সিরাজুল।