শ্যামনগরে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের পোড়া বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বত্তরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : শ্যামনগরে আলোচিত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের পোড়াবাড়ি ঘরের গ্রেট গিরিল ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বত্তরা অথচ প্রশাসন নিরব ‌। প্রাপ্ত তথ্য জানা যায় গত ১৬ই জুলাই ২০২৪ সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আক্রান্ত হয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তার চিকিৎসা সেবায় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা হাসপাতালে নিয়োজিত ছিল ৫ আগস্ট এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের হত্যা চেষ্টার মামলার আসামিরা, ওই রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে তার বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ডাকাতি করে সব মালামাল নিয়ে যায় পরে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। বর্তমান সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বাড়ি ঘরে থাকার জায়গা না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় বাচ্চা দের নিয়ে মানাবে তোর জীবন যাপন করছে। এই সুযোগে স্থানীয় আব্দুল আজিজ সরদার পিতা-মৃত জব্বার সরদার পলাশ সরদার পিতা আব্দুল মজিদ সরদার জহির জমাদ্দার পিতা মৃত হাসেম জমাদ্দার সিপিজি ‌সদস্য আবুল হোসেন গাজী মোঃ ইমান আলী গাজী মোঃ আমজাদ হোসেন গাজী মোহাম্মদ নূর হোসেন গাজী সর্ব পিতা মৃত্যুএন্তাজ গাজী আজিবর রহমান পিতা আবু বক্কার গাজী এদের কোন দলের পরিচয় নাই এরা এলাকায় সন্ত্রাসী নামে পরিচিত, এরা বিভিন্ন জাতীয় আঞ্চলিক স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির ইট পড়াগিরিল পুকুরের মাছ সহ যা যা আছে প্রতিদিন দিবালোকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্যের কাছে প্রকাশ্য বিক্রি করছে বিষয়টি বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এ রিপোর্ট লেখার সময় খবর পাওয়া যায় উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা লোকজন নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির মালামাল দ্বিধাচ্ছে খুলে নিয়ে যাচ্ছে, এলাকার সাধারণ কোন মানুষকে মুখ খুলতে দিচ্ছে না সিপিপি সদস্য আবুল হোসেন এলাকার অন্যান্য মানুষকে সুন্দরবনে গেলে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রেখে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম মাননীয় প্রধান ‌উপদেষ্টা মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মাননীয় মহা পুলিশ পরিদর্শক আইজিপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। বিস্তারিত তথ্যে জানা যায় গত ২৪ সালের জুলাই মাসে সুন্দরবনের বিএল নবায়নে বনজীবীদের কাজ থাকে বন বিভাগ ৩৪ টাকা রাজস্ব স্থলে এক হাজার টাকা আদায় করছিল ‌। এছাড়া জুন জুলাই আগস্ট সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে সরকারিভাবে পর্বে অধিকার নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু তৎকালীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হাসান চৌধুরী প্রত্যেক জেলের নৌকা থাকে সপ্তাহে দুই হাজার টাকার মাধ্যমে হাজার হাজার জেলে সুন্দরবনের প্রবেশ করিয়ে মাছ ধরার ছিল এই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রকাশ করে সে কারণে তৎকালীন সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হাসান চৌধুরী দালালরা ইকবাল হাসান চৌধুরী নির্দেশে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারে ১৬ ই জুলাই ২০২৪ বেলা আনুমানিক ছয়টার দিকে হত্যার চেষ্টা চালায় বিষয়টি তৎকালীন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ খবর পেয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কে ঘটনার স্থান থেকে মুহুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তাররা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অবস্থার অবনতি দেখে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি দেখে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সেখানে রোগীর অত্যন্ত চাপ থাকায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে রেফার্ড করেন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম সেখানেই চিকিৎসা নেন এখনো সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তার শরীরে নয়টি ফ্যাকচার ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রীর রাবেয়া খাতুন গত ২৫ জুলাই ২০২৪ শ্যামনগর থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন উক্ত মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত ২৯ শে মার্চ ২০২৫ শ্যামনগর থানা পুলিশ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জের দাখিল করেন ‌। বর্তমান সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের কোনো বাড়িঘর না থাকায় বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে মানাবেতর জীবন যাপন করছে ‍। এমতাবস্থায় এখনো পর্যন্ত ক্ষান্ত হয়নি সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন বাহিনী ৫ই আগস্ট ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ডাকাতি করে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের স্বর্ণালংকার নগদ টাকা অন্যান্য মালামাল সহ অন্তত আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ডাকাতিও লুট করে নিয়ে যায়। পরে বাড়ি ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। বর্তমানে বাড়ির পড়া গ্রিল ইট পুকুরের মাছ প্রকাশ্য দিবালোকে নিয়ে যাচ্ছে বিষয়টি বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ‌। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিপিজি সদস্য আবুল হোসেনের নেতৃত্বে উপরোক্ত ব্যক্তিরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে এই সমস্ত মালামাল খুলে নিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন বনবিভাগের সাথে জড়িত থাকায় এলাকাবাসীকে চাপের ভক্ত রেখে সাংবাদিক সেরাজুল ইসলামের বাড়িতে এই সমস্ত কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কেহ যদি এ ব্যাপারে মুখ খোলে তাকে সুন্দরবনে যেতে দিবে না বলে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে এর আগেও সিপিজি ‌সদস্য আবুল হোসেন এলাকার অনেক নিরপরাধ মানুষের নামে বনবিভাগকে ভুল বুঝিয়ে বিভাগীয় বন ‌‌‌মামলা দিয়েছে এখনও বন বিভাগের সাথে টহলে যেয়ে বনজীবীদের সাথে বনদস্যদের চেয়ে খারাপ আচরণ করে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে, সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন গাজী আজবর ‌‌রহমান গাজী ও আব্দুল্লাদের সরদার তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ছিনতাই চাঁদাবাজির মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে ‍।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং মাননীয় মহা পুলিশ পরিদর্শক আইজিপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ ‌কামনা করে উপরোক্ত আসামিদের ন্যায় বিচার চেয়ে ইমেইলে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন