
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : শ্যামনগরে আলোচিত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে লুট হওয়া কিছু গেট গিরিল উদ্ধার করল শ্যামনগর থানার পুলিশ ১৭ মে বিকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে শ্যামনগর থানার পুলিশ সাংবাদিকুল ইসলামের বাড়ির পাশে পলাশ সরদার পিতা মজিদ সরদার গ্রাম দক্ষিণ কদমতলা এর বাড়ির ঘর থেকে শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই জহুরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সিরাজুল ইসলামের বাড়ির মূল ফটকের গেট সহ ঘরের আরো দুইটি গেট ও কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে এ সময় পুলিশ এর সাথে জড়িত পলাশ সর্দারসহ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি,, ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায় সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম সুন্দরবনের বেশ কিছু অনিয়মের খবর পত্রিকায় প্রকাশ করায় গত ১৬ই জুলাই ২০২৪ বেলা আনুমানিক ছয়টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর বাজারে তৎকালীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হাসান চৌধুরীর নির্দেশে বন বিভাগের দালালরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে তৎকালীন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে একদল পুলিশ ঘটনাস্থান থেকে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার অবস্থার অবনতি দেখে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত ডাক্তারগণ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা মারাত্মক অবনতি দেখ ওই রাতে ঢাকা মেডিকলে রেফার্ড করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকায় ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন সেখানেই সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৯ টিফ্র্যাকচার ধরা পড়েন সেখানেই সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অপারেশন সহ যাবতীয় চিকিৎসা হন এখনো পর্যন্ত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন,,, এই ঘটনায় গত ২৫ শে জুলাই ২০২৪ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে ২০জনকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন গত ৫ই আগস্ট সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তার বাড়ির অন্য সদস্যরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকায় ঐদিন রাত আনুমানিক ১১ টার উদর বোঝা বুধর ঘাড়ে চাপাতে ওই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের হাতটা চেষ্টা মামলার আসামিরা ও স্থানীয় সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন পিতা-মৃত্যু এন্তাজ গাজ এর নেতৃত্বে আব্দুল আজিজ সরদার আজীবর রহমান ইমান আলী গাজী নূর হোসেন গাজী পলাশ সরদার আব্দুল মজিদ সরদার সহ আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ জন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে বাড়ির স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল সহ আনুমানিক আড়াই কোটি টাকার সম্পদ ডাকাতি ও লুট করে নিয়ে যায়,,, পরে পেট্রোল দিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের সব ঘর গুলি আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়,,, সেখানেও ক্ষান্ত হয়নি আবুল গংরা প্রতিনিয়ত খুলে নিয়ে যাচ্ছিল সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির জানালা দরজা গেট গিরিল থাই গ্লাস সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল, বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মাৎ রনি খাতুন ও শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরমোল্লাকে অবহিত করলে শ্যামনগর থানা পুলিশ গত তিন দিন আগে এসে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির ছবি এবং বিভিন্ন আলামত ভিডিও ফুটে জ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়,। এরপরে ১৬ই মে রাতে আবুল হোসেন গংরা সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির মূল ফটকের গেট এবং ঘরের দুটি গেট সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র জিনিসপত্র খুলে নিয়ে পলাশ সরদার পিতা মজিদ সরদারের ঘরে রাখে বিষয়টি এলাকাবাসী খুব গোপনীয়তার সাথে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামকে জানালে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরমোল্লা কে অবিহিত করলে হুমায়ুন কবিরমোল্লার নির্দেশে শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই জহুরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পলাশ সরদার পিতা আব্দুল মাতিন সরদার এর ঘর থেকে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির মূল ফটকের গেট দুটি ঘরের গেট সহ বেশ কিছু ক্ষুদ্র মালামাল আটক করে পার্শ্ববর্তী সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের ভাগ্নে রেজাউল করিমের বাড়িতে রেখে আসে,,। পুলিশ ঘটনার বিষয় পলাশ সরদারের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে বলেন তার স্বামী পলাশ সরদার আবুল হোসেন গাজী আব্দুল আজিজ সরদার আজীবর রহমান আমজাদ আলী গাজী নূর হোসেন গাজী ইমান আলী গাজী সহ একদল লোকজন আমাদের ঘরে এই মান-সামানা রেখেছে,,, উল্লেখ্য যে এই আবুল গংদের বিরুদ্ধেএলাকার কোন মানুষকে মুখ খুলতে দেয় না ওই এলাকার সকল মানুষ হতদরিদ্র তারা সবাই সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন বনবিভাগের সাথে জড়িত থাকায় গ্রামের প্রতিটা বাড়ি বাড়ি যেয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে যে সিরাজুলের বাড়িতে আমরা যা ইচ্ছা তাই করব গ্রামের মানুষকেও মুখ খুললে তাকে আর সুন্দরবনে যেতে দেওয়া হবে না বন মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হবে। ইয়ের ওই নমুনা হিসেবে আবুল হোসেন গং এলাকার বেশ কিছু লোকদের নৌকা ঘাট থেকে দিবালোকে খুলে নিয়ে নৌকায় কীটনাশক দিয়ে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ কাঠ দিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বনবিভাগকে অসহায় মানুষের নামে বন মামলা দিতে বাধ্য করিয়েছে ।সে কারণে আবুল হোসেন বাহিনীর ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খোলে না। এইমাত্র পুলিশ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির মূল ফটকের গেট বাড়ির গেট সহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করে আসার পরপরই আবুল বাহিনীরা বাহিরে রাস্তায় এসে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে মারাত্মক ঝামেলা করছে প্রত্যেকের ফোন চেক করছে কে থানায় ফোন দিছে কে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের কাছে ফোন দিছে সেগুলো যাচাই করছে এবং ব্যাপক পুলিশ সহ সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম এবং তথ্যদাতা কে গালিগালাজ করছে।, এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাননীয় মহা পুলিশ পরিদর্শক আইজিপি মহোদয়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।। এছাড়াও বাড়ি ঘরে ডাকাতি লুটপাটের মামলা গ্রহণের জন্য সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছেন। এ ছাড়াও দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এদেরকে দল থেকে বরখাস্ত করার জন্য অভিযোগ জানিয়েছেন,,, বর্তমানে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাত নদী পত্রিকা শ্যামনগরের নিজস্ব প্রতিনিধিখুলনা থেকে বহুল প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আমার সময় পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ভোরের পত্রিকায় সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সকালের বাংলার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।