
খান আঃ জব্বার শিবলী, রূপসা : রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন গ্রামীন যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে দশ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে ঘাটভোগ ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃশ্যপট। তাছাড়া দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার মোঠোপথ ইটের সলিং দ্বারা নির্মাণ কাজ সমপন্ন হয়েছে। বাকিকাজ সম্পন্ন হলে ভাগ্য বদলে যাবে স্থানীয় অবহেলিত কৃষকের। ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৯৫ ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করে থাকে। ধান, পান এবং মৎস্য চাষ ছিল তাদের একমাত্র অবলম্বন। বর্তমান সরকারের আমলে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভরশীল চাষাবাদ করার সুযোগ পেয়েছে স্থানীয় কৃষকরা এ কারণে পুরা ইউনিয়ন জুড়ে হরেক রকম সবজির চাষাবাদ হচ্ছে লাউ, কুমড়া, পেপে, টমেটো, তরমুজ, বাঙ্গি, শশা, বরবটি, করোলা, জিঙ্গে, কুশী, ভেন্ডি, ডাটা, পোটলসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাকের চাষ। চাষীরা উৎপাদিত সবজির সঠিক মুল্য না পাওয়ার কারণে চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে চাষীরা তাদের উৎপাদিত পন্য মাত্র ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে রাজধানী শহরে পাইকারী অথবা খুচরা বিক্রি করে অধীক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবে। বদলে যাবে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির জীবনমান, তৈরী হবে অর্থনৈতিক বলয়।গতকাল ১০ সেপ্টেম্ব দিনব্যপী খুলনা -৪ আসনের সাংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ঘাটভোগ ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন মূলক কাজের উদ্বোধন করেন কাজগুলির বিবারণ নিম্নরুপ জগদীশ সরকারের বাড়ী হতে পিঠাভোগ কালীমন্দির অভিমুখী, ওয়াপদা সড়ক হতে সামছু পাইকের বাড়ী অভিমুখী সড়কের উদ্বোধন, শিয়ালী – চাদপুর হতে শিংগাতী অভিমুখী সড়ক ও বুড়ীগাঙ্গী হতে শিয়ালী বেড়ীবাঁধ সড়কের উদ্বোধন। সিন্দুরডাঙ্গা জিপিএস ও সিন্দুরডাঙ্গা বিল সড়ক এবং বোলটি মনিমহন রায়ের বাড়ী হতে বিল অভিমুখী সড়কের ঐইই দ্বারা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। তাছাড়া শেখপুরা জিসি সড়কের গোয়াড়া জিরো পয়েন্ট হতে শিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ী সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন এবং ঘাটভোগের মোড় হতে মানসা ব্রিজ অভিমুখী এ্যাপ্রেচ সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।
ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান জানান রূপসার মানচিত্রের সর্বশেষ ইউনিয়ন হচ্ছে ঘাটভোগ, লক্ষাধীক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৫ ভাগ কৃষক। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে এলাকায় বড় ধরনের সম্ভাবনাময় সবজি আড়ৎ তৈরী হতে পারে। এতে করে এলাকায় কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী এস এম অহিদুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন খুলনা-৪ আসনের সাংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী স্যারের দিকনির্দেশনায় গ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপথ উন্নয়নের মাধ্যমে রূপসা উপজেলাকে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে একটি অনুকরণীয় উপজেলা হিসেবে রূপসার জনগনকে উপহার দিতে চাই।

