২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি
বিজ্ঞপ্তি : প্রবীণ সাংবাদিক, দৈনিক আমার সংবাদের খুলনা ব্যুরো প্রধান একরামুল কবিরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদেও গ্রেফতারের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক কালের কন্ঠের ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার বেল্লাল হোসেন সজল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাবিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন(এমইউজে) খুলনার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবুল হাসান হিমালয়, এমইউজে’র কোষাধাক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ বাবুল হাওলাদার, নাইস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান এম মজিবুর রহমান, গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমন, দৈনিক আমার সংবাদের পাইকগাছা প্রতিনিধি কৃষ্ণ রায় ও সাংবাদিক একরামুল কবিরের ছেলে হুমায়ুন কবির।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন খুলনা শাখার সভাপতি এম এ হাসান, খুলনা টাইমসের বার্তা সম্পাদক নূর হাসান জনি, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের রিপোর্টার মাশরুর মোর্শেদ, মানবাধিকার কর্মী রাবেয়া সুলতানা, মো. বাবলুজ্জামান, নুর ইসলাম, পারভিন আক্তার স্বপ্না, সাইফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন অনিক, শান্ত ইসলাম, মো. রোমানিয়া, এম এ সাদী, মিজানুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, নূরুল আমিন, ইলিয়াস হোসেন, উম্মে উমামা রাত্রি, শাফায়েত হোসেন শাওন, তুরান মল্লিক, মো. সালাউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক একরামুল কবিরের ওপর গত ১১ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা হামলা চালালেও এখন পর্যন্ত মূল আসামী গ্রেফতার হয়নি। বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিক একরামুল কবিরের ওপর হামলাকারী প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, তা’ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে নগরীর দৌলতপুর দেয়ানায় নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে স্থানীয় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী মুনির ও কাওসার কবির গ্যাং এর সদস্যরা একরামুল কবিরের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর অবস্থায় প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে বেসরকারি একটি হাসপাতালে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে তার মাথার খুলি আলাদা করে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পার হলেই সেটি পুনঃস্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় পরদিন ১২ নভেম্বর রাতে আহত সাংবাদিকের স্ত্রী কেএমপির দৌলতপুর থানায় মামলা করেছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল আসামি রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।