জন্মভূমি রিপোর্ট : ডহর মৌভোগ এলাকায় সরকারি রাস্তার পাশে খাস জমিতে দোকান ঘর উচ্ছেদ করেন সরকারের পক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট। উচ্ছেদকৃত দোকানঘর রাস্তার উপর রাখায় সাক্ষী প্রদানকালে সাক্ষীদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন লিটন বালা, মিল্টন বালা, দিপু কীর্তনীয়া, দীপঙ্কর কীর্তনীয়া, দেবদাস কীর্তনীয়া, রঞ্জিত কীর্তনীয়া, মিঠুন শিকদারসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে ফকিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন কালিদাস মাঝি বাদী হয়ে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডহর মৌভোগ এলাকায় খাস জমির উপরে দোকানঘর উচ্ছেদ করেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ম্যাজিস্ট্রেট গত ২ মে। ঐ দোকানগুলি রথখোলা থেকে পূর্ব পাড়া থেকে পশ্চিমপাড়া যাওয়ার রাস্তার উপর রেখে সেখানে ঘর তৈরি করে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিতিশ ঢালী ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সন্ধ্যা রানী মন্ডলসহ আরো কয়েকজন ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ৩ মে বিকালে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে আসেন। তদন্তে ওই স্থানের সাক্ষী অংশুমান ঢালী, কামনা ঢালী, নিরাপদ রায়, বিপুল মাঝি, সুশীল রায়সহ গ্রামের অনেক লোক উপস্থিত হয়। তারা সহকারি কমিশনারের নিকট সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য প্রদান করলে আসামিরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে দা, লাঠি, শাবল, লোহার রড, ইত্যাদি নিয়ে সাক্ষী ও উপস্থিত লোকদের উপর হামলা করে। হামলায় কামনা ঢালীর স্বামী অংশুমন ঢালী, সুশীল রায়, ইউপি সদস্য সন্ধ্যা রানী মন্ডল, নীতিশ ঢালী, ঝন্টু ঢালী, বিপুল মাঝিসহ ১০/১২ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে কালিদাস মাঝি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।