সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে ৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার (জিআর-১৬২/২৫) বাদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের এক নারী।
বিচারক মোছা. মাফরোজা পারভিন মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন ৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার বাদী ও কালীগঞ্জ উপজেলার গণপতি গ্রামের রিপনুজ্জামান রিপন, মামলার সাক্ষী গণপতি গ্রামের শহীদুল ইসলাম, সাক্ষী কালীগঞ্জের বাস টার্মিনাল এলাকার হাবিবুল্লাহ ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের শেখ মেহেদী হাসান।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ১ নম্বর আসামি রিপনুজ্জামান রিপনের সঙ্গে বাদীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। ১ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে আসামি রিপনুজ্জামান তাঁকে কাটিয়া সরকারপাড়ার আশরাফ হোসেনের বাড়ির ভাড়া করা বাসায় ডেকে নেন। সেখানে সব আসামি তাঁর মুখ চেপে ধরেন। ২ নম্বর আসামি তাঁর শরীরের কাপড় খুলে ফেলেন। আসামি হাবিবুল্লাহ ও মেহেদী তাঁর দুই হাত চেপে ধরেন। আসামি রিপন তাঁকে ধর্ষণ করার পর অপর তিন আসামি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি চিৎকার করলে আসামিরা তাঁর কাছ থেকে ১০০ টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষী করা হয় বাবলুর রহমান, ফজর আলী ও আব্দুল কাইয়ুমকে।
বাদীর আইনজীবী নুরুল আমিন জানান, বাদীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা,পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

Leave a comment