সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : সাতক্ষীরার ঐতিহ্য “সড়ক পথে সুন্দরবন” এ স্লোগান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে। এ সড়কে সাধারণ মানুষ দায় না পড়লে চলাচল করতে চান না।
সাতক্ষীরার ঐতিহ্য “সড়ক পথে সুন্দরবন” এ স্লোগান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে। এ সড়কে সাধারণ মানুষ দায় না পড়লে চলাচল করতে চান না।
সাতক্ষীরার ঐতিহ্য “সড়ক পথে সুন্দরবন” এ স্লোগান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে। এ সড়কে সাধারণ মানুষ দায় না পড়লে চলাচল করতে চান না। প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত ৬২.৩২ কিলোমিটার সড়ক। দীর্ঘ এই সড়কের অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক ছোট বড় দুর্ঘটনা। ফলে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন জেলার চার উপজেলার মানুষ। একইসাথে বেড়েছে পণ্য পরিবহন ব্যয়।
সড়ক বিভাগ বলছে, ৮২২ কেটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও ঠিকাদার নির্বাচন না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানুষ সরাসরি সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া আশাশুনি উপজেলার একাংশের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা এটি। সাতক্ষীরার এই সড়ক ধরেই জেলা শহরসহ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন এই পাঁচ উপজেলার কম করে ১৫ লাখ মানুষ। সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলার অন্তত ১৫ লাখ মানুষ।
বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য যেতে হয় এই সড়ক দিয়েই। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি গত প্রায় দুই যুগ ধরে সংস্কার করা হয়নি। মাঝে মাঝে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পুডিং ও ইট ফেলে দায় সারছে সড়ক বিভাগ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, আলিপুর বাজার, আলিপুর শ্মশান, কুলিয়াসহ সড়কটির অন্তত ১৬টি স্পট চিহ্নিত করে পাকা রাস্তার ওপর নির্মাণ করা হয় ইটের হেরিং বন্ড। যা নিয়ে রীতিমত হাস্যরসের সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে।
কলেজ শিক্ষক নওশাদ আলম লিপন বলেন, বাংলাদেশের কোথাও এমন বিরল ঘটনা ঘটেছে কি না আমার জানা নেই যে ‘পাকা রাস্তার ওপর ইটের সোলিং’ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকটের কারণেই সড়কটির এ দুরবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে সড়কটির অবস্থা এতোটাই খারাপ যে তা দিয়ে চলাচল করলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়ছে পণ্য পরিবহন। সাতক্ষীরা জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের স্লোগান ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়কপথে সুন্দরবন’। কিন্তু সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের বেহাল দশার কারণে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের এ স্লোগান ভুলতে বসেছেন মানুষ। কারণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে আসতে উৎসাহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। এতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটনের উপর নির্ভরশীল উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায়। একইসঙ্গে ব্যহত সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের চলাচল ও রসদ সরবরাহে।
শ্যামনগরের সাবেক প্রকৌশলী শেখ আফজাল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরাই বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যেখানে সড়কপথে সুন্দরবন উপভোগ করা সম্ভব। কিন্তু সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের যে নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থা তাতে এখানে আর পর্যটকরা আসতে চান না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা শহরে আসতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা। আর সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। তারপর বাসে বা অন্য কোন পরিবহনে আসতে গেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া শ্যামনগরের কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় নিতে তার জীবন প্রায় শেষ হয়ে যায়। অনেক রোগী পথেই মারা যায়। তিনি সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
ঐতিহ্য “সড়ক পথে সুন্দরবন” এ স্লোগান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে। এ সড়কে সাধারণ মানুষ দায় না পড়লে চলাচল করতে চান না। প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত ৬২.৩২ কিলোমিটার সড়ক। দীর্ঘ এই সড়কের অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক ছোট বড় দুর্ঘটনা। ফলে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন জেলার চার উপজেলার মানুষ। একইসাথে বেড়েছে পণ্য পরিবহন ব্যয়।
সড়ক বিভাগ বলছে, ৮২২ কেটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও ঠিকাদার নির্বাচন না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মানুষ সরাসরি সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া আশাশুনি উপজেলার একাংশের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা এটি। সাতক্ষীরার এই সড়ক ধরেই জেলা শহরসহ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করেন এই পাঁচ উপজেলার কম করে ১৫ লাখ মানুষ। সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলার অন্তত ১৫ লাখ মানুষ।
বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে ভ্রমণের জন্য যেতে হয় এই সড়ক দিয়েই। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি গত প্রায় দুই যুগ ধরে সংস্কার করা হয়নি। মাঝে মাঝে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পুডিং ও ইট ফেলে দায় সারছে সড়ক বিভাগ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, আলিপুর বাজার, আলিপুর শ্মশান, কুলিয়াসহ সড়কটির অন্তত ১৬টি স্পট চিহ্নিত করে পাকা রাস্তার ওপর নির্মাণ করা হয় ইটের হেরিং বন্ড। যা নিয়ে রীতিমত হাস্যরসের সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে।
কলেজ শিক্ষক নওশাদ আলম লিপন বলেন, বাংলাদেশের কোথাও এমন বিরল ঘটনা ঘটেছে কি না আমার জানা নেই যে ‘পাকা রাস্তার ওপর ইটের সোলিং’ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকটের কারণেই সড়কটির এ দুরবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে সড়কটির অবস্থা এতোটাই খারাপ যে তা দিয়ে চলাচল করলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়ছে পণ্য পরিবহন। সাতক্ষীরা জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের স্লোগান ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়কপথে সুন্দরবন’। কিন্তু সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের বেহাল দশার কারণে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের এ স্লোগান ভুলতে বসেছেন মানুষ। কারণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে আসতে উৎসাহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। এতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটনের উপর নির্ভরশীল উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায়। একইসঙ্গে ব্যহত সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের চলাচল ও রসদ সরবরাহে।
শ্যামনগরের সাবেক প্রকৌশলী শেখ আফজাল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরাই বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যেখানে সড়কপথে সুন্দরবন উপভোগ করা সম্ভব। কিন্তু সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের যে নাজুক ও জরাজীর্ণ অবস্থা তাতে এখানে আর পর্যটকরা আসতে চান না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা শহরে আসতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা। আর সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। তারপর বাসে বা অন্য কোন পরিবহনে আসতে গেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া শ্যামনগরের কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় নিতে তার জীবন প্রায় শেষ হয়ে যায়। অনেক রোগী পথেই মারা যায়। তিনি সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়কের জনদুর্ভোগ চরমে

Leave a comment