শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া : সামান্য বৃষ্টিতেই ডুমুরিয়া উপজেলা বাজারের প্রধান রাস্তাগুলো কাদা ও পানিতে একাকার হয়ে পড়ছে। বাজারজুড়ে জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে ডুমুরিয়া থানার সড়কের কাঠের পোল নামক রাস্তার অবস্থা সবচেয়ে করুণ,যেখানে পথচলা হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য।প্রতিদিন এই বাজার গুলোতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।শিক্ষার্থী,কৃষক,ব্যবসায়ী, সাধারণ পথচারী—সবাইকে পোহাতে হচ্ছে একই দুর্ভোগ। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার নিচু অংশগুলোতে পানি জমে যায়। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে সেই পানি দীর্ঘ সময় ধরে থেকে কাদা ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।স্থানীয় বাসিন্দা গাজী সোহেল আহম্মেদ বলেন, “বাজারে আসা মানেই এখন কাদার সঙ্গে যুদ্ধ। থানা সড়কে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া দুর্বিষহ।অনেকে জুতা খুলে হেঁটে যায়,অনেকেই পড়ে যায়।” ভ্যান চালক রাজা মিয়া বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালানো এখন ঝুঁকির কাজ। যাত্রী উঠতে চায় না, অনেক সময় কাদায় ভ্যান ভ্যানের চাকার কাদা লাগে। ”বাজারের ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তাঁরা বলছেন,ক্রেতারা দোকানে আসতে চায় না,বিক্রিতে প্রভাব পড়ছে।অনেক ব্যবসায়ী নিজের দোকানে যেতে কাদা পার হয়ে আসেন।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন,রাস্তাগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন এবং বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।তবে এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় শফিকুল ইসলাম, রহিম শেখ ও মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন পথচারী বলেন, ডুমুরিয়া বাজারে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা একেবারে অনুপযোগী।বাজার সদয় করতে যাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট বাজার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দাবি উপজেলা সদরের তিনটি বাজারের ত্রুটিপূর্ণ রাস্তাগুলো সংস্কার করা। এলাকাবাসী দ্রুত রাস্তা সংস্কার,উঁচু করাসহ পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা,বর্ষা মৌসুম পুরোদমে শুরু হলে এই দুর্ভোগ আরও বহুগুণে বাড়বে। মাছ চাঁদনিতে বাজার ব্যবসায়ী বিজয় বলেন, বাজার থেকে সরকার বড় অংকের রাজস্ব পায়,কিন্তু বাজারটির আশানুরূপ উন্নয়ন হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর জন্য অচিরেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টির প্রয়োজন।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বলেন,বাজারগুলির রাস্তার এই অবস্থা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।