সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক বলেছেন, সারাদেশের মামলা জট কমাতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইতোমধ্যে ১২দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিচার নিষ্পত্তি আরও সহজ করার জন্য আমরা একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছি। সাতক্ষীরায় পৌনে এক লক্ষ মামলা পেন্ডিং রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এখানে অনেক বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং আরো বিচারকের পদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরাতে বিচারকের তুলনায় মামলা অনেক বেশি, তার পরও এখানে নতুন মামলা দাখিলের চেয়ে নিষ্পত্তি বেশি হচ্ছে।বিচারপতি মাহমুদুল হক প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের মনে রাখা উচিত, এই মামলা জট একদিনে হয়নি। এগুলো শত বছরের মামলা জট। যখন থেকে এই বিচার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে তখন থেকে। তিনি বলেন, ইদানিং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে বেশি সচেতন। আগে মানুষ গ্রামে বা পঞ্চায়েতে বিচার করে সমস্যা সমাধান করে ফেলত, এখন সেটা আর হয় না। অধিকাংশ বিরোধ কোর্টে চলে আসে। ফলে মামলার আধিক্য বৃদ্ধি পেয়েছে।সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।এসময় তিনি আরও বলেন, মামলার কারণে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে শতশত মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। তাদের পানাহার, বিশ্রাম ও বাথরুম ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিতকরণে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় সাতক্ষীরাতেও বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মিত হয়েছে।ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দীন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক এড. এমদাদুল ইসলাম, জিপি এড. অসিম কুমার মন্ডল, পিপি এড. শেখ আব্দুস সাত্তার, নারী শিশু পিপি এড. শেখ আলমগীর আশরাফসহ বিচার বিভাগ সাতক্ষীরার বিচারকবৃন্দ এবং আইনজীবীবৃন্দ।‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে বিচারপতি মাহমুদুল হক আদালত প্রাঙ্গণে একটি নিম গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি সাতক্ষীরার বিচার বিভাগীয় বিচারকগণের সঙ্গে একমত বিনিময় সভা করেন।এছাড়াও তিনি সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান কালীগঞ্জের নলতা শরীফ, দেবহাটার মিনি সুন্দরবন ও সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা স্থল বন্দর পরিদর্শন করেন।