
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন অভয়ারণ্যে প্রবেশের অভিযোগে পাঁচ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ডেপুটি রেঞ্জার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নোটাবেঁকীর টহলফাঁড়ির সদস্যরা রায়মঙ্গল নদীর বাওনে নোটাবেকীর অভয়ারণ্য থেকে তাদের আটক করে। এসময় একই এলাকা থেকে সাতটি ডিঙি নৌকা ও সাদা মাছসহ মাছ ধরার সরঞ্জামাদি জব্দ করেন আভিযানিক দলের সদস্যরা।
আটক জেলেরা হলো শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের আশরাফ গাজীর ছেলে আজিবর গাজী (৪৬), মৃত রশিদ সরদারের ছেলে রফিকুল সরদার (৩৮), কালিঞ্চি গ্রামের মৃত মোরশেদ শেখের ছেলে রেজাউল (৪৩), আজিজুল গাজীর ছেলে জাহিদুল (২২) ও গোলাখালীর মৃত সুশীল মন্ডলের ছেলে দুখে মন্ডল (৪০)।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ ফজলুল হক জানান এসব জেলেরা বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে মাছ শিকারের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করে।
শেষ পর তারা সংরক্ষিত অভয়ারণ্য ঢুকে মাছ শিকার করছিলেন। সকলকে আটকের পর বন আইনের মামলায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের কথা হয় খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান সুন্দরবনে রেট এলাট জারি করা হয়েছে বনরক্ষী ,নৌ বাহিনী ,কোস্ট গার্ড , ও নৌ পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীহীনভাবে টহল করছে সুন্দরবনে তিন মাস প্রবেশ অধিকার প্রত্যাহারের পর থেকে নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে জেলেরা সে কারণে প্রতিনিয়ত অপরাধের দায়ে আটক হচ্ছে জেলেরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বনমামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যতদিন যাবে তত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সুন্দরবন নিয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে কোন কায়দায় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবনে অপরাধ বরদস্ত করা হবে না।
সুন্দরবনের নানামুখীঅপকর্ম নিয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে ০১৭১১ ৫২৬০৬৬এইমোঠো ফোনে কথা হয় জলবায়ু ,পরিবেশ , পানি,ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজিওয়ানা হাসানের সাথে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন শুধু বনজীবীদের ঘাড়ে দোষ চাপালে হবে না আমরা এখানে বসে সকল তথ্য সংগ্রহ করেছি এর সাথে কিছু অসাধুবনরক্ষীরা সুবিধা নিয়ে বনজীবীদের অপরাধ করতে সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন এই সমস্ত অভিযোগের কথা আমি বারবার প্রধান ধন সংরক্ষক সিসি এফ, আমির হোসেন চৌধুরী কে বলেছে কিন্তু তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে কিনা তৃণমূল পর্যায়ে কোনো নির্দেশনা গেছে কিনা আমি এখনো জানতে পারিনি সিসিএফ এর কাছে বিষয়গুলো জানতে চাইলে তিনি বলেন স্যার তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এই সমস্ত অপরাধ দমন করার জন্য কঠোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সকালে উঠে দেখি বিভিন্ন পত্রিকার পাতায় সুন্দরবনের নানামুখী অপরাধের কর্মকান্ড। তিনি আরো বলেন বনরক্ষীরা যতদিন শতভাগ সততা না হবে ততদিন সুন্দরবনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ সরিষায় ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কি করে।