মাংশ আটক হলেও ধরা পড়ছে না শিকারী
জন্মভূমি রিপোর্ট : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সর্বত্রই চলছে হরিণ শিকার।হরিণের মাংশ ধরা পড়লেও ধরা পড়ছে না শিকারী। জনমনে নানা প্রশ্ন।
সুন্দরবনে সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪ ষ্টেশনের আওতাধীন সবকাটি এলাকা দিয়ে প্রতি দিনেই চলছে হরিণ শিকার । চিহ্নিত হরিন শিকারীরা সন্ধায় সুন্দরবনে প্রবেশ করে ফাঁশি দিয়ে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসছে । গাবুরা, ভেটখালী, মুন্সীগঞ্জ, হরিনগর, কৈখালী, টেংরাখালী, কলিঞ্চি, চাঁদনীমুখা, ছোট ভেটখালী এলাকা সহ উপকুলীয় গ্রামগুলোতে প্রতি সন্ধায় শিকারকৃত হরিনের মাংশ উঠছে। এলাকার চিহ্নিত হরিণ শিকারীরা ফাঁস দিয়ে শিকার করে শিকারকৃত হরিণ জবাই করে বা জিবীত হরিণ লোকালয়ে এনে জবাই করছে। রাতের আধারে সেই মাংশ শ্যামনগর সদরসহ বিভিন্ন জেলায় পাচার করছে। কোন কোন সময় এলাকার সচেতন লোকজন আটক করে বনবিভাগকে খবর দিয়ে উদ্ধার ও করেছে কিন্তু চোরা শিকারীদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাবাসী বলছে বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ থাকায় আটক করা হচ্ছে না শিকারীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি জানান, পর্যটকরা সুন্দর বনে যাওয়ার সময় মাছ ও হরিণ শিকারের জন্য সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছে এবং মাছ ও হরিণ শিকার করছে। গত বুধবার রাতে গাবুরার ৯নং সোরা থেকেও ৬০ কেজি হরিণের মাংশ উদ্ধার হলে কোন শিকারী আটক হয়নি। এভাবে হরিণ শিকারে মাংশ আটক হলেও আটক হচ্ছে না শিকারী। শিকারী আটক না হওয়ায় উপকুলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন। এব্যাপারে কথা হয় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হাসান চেীধুরীর সাথে তিনি বলেন, এতবড় সুন্দরবন সে হিসাবে আমাদের লোকবল কম আমারা চেষ্টা করছি হরিণ শিকার বন্ধের জন্য। প্রায় ধরা পড়ছে শিকারকৃত মাংশ ও শিকারী তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা ও হচ্ছে। শিকারীদের ধরার জন্য পুরুস্কার ও ঘোষনা করাও হয়েছে।এব্যাপরে কথা হয় কোবাদক বন অফিস কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সাথে তিনি বলেন আমার এলাকা দিয়ে হরিণ শিকার হচ্ছে না ।