মোঃ এজাজ আলী
ছোট বড় গণপরিবহনের পাশাপামি খুলনা নগরবাসীর চলাচলের আরেকটি বহুল প্রচলিত বাহন হলো রিকশা। নির্দিষ্টে গন্তব্যে বাসের তুলনায় রিকশার ভাড়া কয়েকগুন বেশি হলেও স্বাচ্ছন্দ্য ও সহজলভ্যতার জন্যই রিকশায় চড়ে মানুষ। রিকশা ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। তবে রিকশাচালকদের দাবি, তারা বেশি ভাড়া চান না। দুরত্ব বুঝে ভাড়া নেন। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় আগের চেয়ে আয় কম হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এখনকার চেয়ে আয় ভালো হবে বলে তাদের আশা।। নগরীর ডাকবাংলা মেড়ের এপিসি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় রিকশা চালান রহিম। তিনি দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, সপ্তাহের সাত দিন সাত রকম আয় হয়।সকাল ১০ টার দিকে বের হয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত চালাই। রিকশার জমা আর খাওয়া বাবদ দুইশ টাকা বাদ দিয়ে চার-পাঁচশ টাকা থাকে। করোনার কারনে ভাড়া আগের চেয়ে কম দাবি করে এই রিকশাচালক বলেন, আগে এ এলাকায় রিকশা চালাতাম, ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকসহ অনেকেই আসতো। এখন তো স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় বন্ধ, তাই এদিকে আর তেমন রিকশা চালানো হয় না। ভাড়া বেশি চান কিনা, জানতে চাইলে রহিম বলেন, আমরা কখনো ভাড়া বেশি চাই না। আর দিন দিন জিনিসের দাম যে হারে বাড়ছে, আবার বেশি দূরত্বের জায়গা হলে সেভাবে আমরা ভাড়া চাই। নগরীর গল্লাসারী এলাকায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাফিজ সরদার।রিকশায় উঠে আলাপচারিতায় এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আগের থেকে তো ভালো আছি। লকডাইনের মাঝে খুব কষ্ট ছিল। এখন তো রিকশার ভাড়া মিটিয়ে যা থাকে তাই দিয়ে বউ, ছেলে মেয়ে নিয়ে মোটামুটি চলে যাচ্ছে। নগরীর শান্তিধাম মোড় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে যাচ্ছিলেন ব্যাংকার আফরোজা খাতুন। রিকশার জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। তিনি বললেন, এখান থেকে ২০ টাকাই ভাড়া।তবে মাঝে মাঝে রিকশাওয়ালারা ২৫ থেকে ৩০ টাকাও চেয়ে বসেন। অনেকে না বুঝেই আবার অনেকে ইচ্ছে করেই চান। নগরীর শামসুর রহমান রোডে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় দাড়িঁয়ে ছিলেন রমজান। তিনি বলেন, আগের চেয়ে ভাড়া একটু কম। তিনি প্রতিদিন ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় আসেন রিক্সা নিয়ে। দৈনিক তিন-চারশ টাকা আয় হয় তার। যা দিয়ে সংসারের খরচ ভালোভাবে চলে যায় তার।