জন্মভূমি ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা সাময়িকভাবে বন্ধের পর আবারও বোমা ফেলা শুরু করেছে ইসরায়েল। টানা ৯ দিন বিমান হামলা চালালোর পর সোমবার (১৬ অক্টোবর) কিছুক্ষণ বোমা হামলা বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলার জবাবে টানা ৯ দিন গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে গাজা ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে মানুষজন। এ ছাড়া গাজায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছে সেসব দেশের সরকার। এরই মধ্যে সীমিত সময়ের জন্য মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের দ্বৈত নাগরিকদের গাজা ত্যাগের সুযোগ দিতেই এই উদ্যোগ।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি ও ফিলিস্তিনের দ্বৈত নাগরিকদের গাজা ছাড়ার সুযোগ দিতে সীমিত সময়ের জন্য রাফা ক্রসিং খোলা হতে পারে। দ্বৈত নাগরিকরা একটি শর্ট নোটিশ পেতে পারেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। মার্কিন দূতাবাস বলেছে, গাজা ছাড়তে মানুষ কতক্ষণ সময় পাবেন, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফা ক্রসিং খোলা হবে, এমন আশায় সেখানে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই সীমান্ত ক্রসিং খোলা হয়নি।
গত শনিবার ইসরায়েলি বোমা হামলা শুরুর পর থেকেই অনেক বিদেশি ও ফিলিস্তিনের দ্বৈত নাগরিক গাজা ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমনকি রাফা ক্রসিংয়ে গাজাবাসীর জন্য জর্ডান ও তুরস্কের পাঠানো মানবিক সহায়তাও আটকা পড়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর দুজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, বিদেশিদের গাজা ছাড়ার সুযোগ করে দিতে দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এরপরই এ ধরনের যুদ্ধবিরতির কথা নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয়।