ক্রীড়া প্রতিবেদক : সম্প্রতি ব্যাট হাতে ছন্দে নেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারত সিরিজের পর দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও সুবিধা করতে পারেননি এই টাইগার অধিনায়ক। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। এরই মাঝে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত।
শান্তর প্রতিভা নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কখনোই সেই প্রতিভার ছাপ রেখে ধারবাহিক হতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও ধারবাহিকতার সঙ্গে কখনো বন্ধুত্ব হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
গত কয়েক মাস ধরে ব্যাট হাতে বেশ ভুগছেন শান্ত। তাই নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে নিজের ওপর থেকে নেতৃত্বের চাপ সরাতে চান তিনি। এ কারণেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন শান্ত।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চান শান্ত। এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। নিজের এমন সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওমরাহ পালন করে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে এলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ক্রিকবাজ বলছে, বিসিবির বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও সেটাতে রাজী হননি তিনি। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এবার সরে দাঁড়াচ্ছেন তিন ফরম্যাট থেকেই। তবে এখন পর্যন্ত শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড।
বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘হ্যাঁ, সে (শান্ত) আমাদের জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে সে আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।’ একই প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনো সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।’