
নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে কমিটিতে পরিবর্তন আসছে
জন্মভূমি রিপোর্ট : দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মামুন খানের স্ত্রী শায়লা শারমিনের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে পরিবর্তন আসছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌসি আক্তার বুধবার দুপুরে বলেন, তাকে প্রধান করে গঠন করা কমিটির অন্য দুই সদস্যকে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে এ পরিবর্তন সংঘটিত হবে। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এ পরবির্তন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। জুন মাসে বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যস্ততার কারণে তদন্ত কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে না হলেও পরের সপ্তাহে তদন্ত কার্যক্রম আরম্ভ হবে।
সূত্রমতে, এর আগে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন-সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ আক্তারুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ অপর্না বিশ^াস।
গত ১৫ মে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর এ আবেদনটি পেশ করেছিলেন। লিখিত ওই আবেদন থেকে জানা গেছে, পেটে ব্যাথা জনিত কারণে শায়লা শারমিন (৩০) কে গত ১৩ মার্চ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ডাঃ সানজিদা হুদা সুইটির প্রাইভেট প্রাকটিসের স্থান গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে নেয়া হয়। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার রিপোর্ট দেখে রোগীকে ওভারিয়ান সিস্টে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করেন। ১৪ মার্চ রোগীর পেটে ভীষন ব্যাথা শুরু হলে তাকে গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা: সুইটি তাকে অপারেশনের আগের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যবস্থাপত্র দেন এবং ১৫ মার্চ দুপুর দেড়টায় অপারেশনের সময় নির্ধারণ করেন। দুপুর একটার পর ওয়ার্ড বয় এবং একজন আয়া শায়লাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। এরপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান ডাঃ দিলিপ কুমার কুন্ডু তাকে জেনারেল এনেসথেসিয়া দেন। দুপুর দু’টা ১২-১৩ মিনিটের দিকে ডাঃ সুইটি ওটিতে প্রবেশ করেন এবং দ্রুত বেরিয়েই বলেন, রোগীর কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়েছে। পরে সেটা রিকভারি হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং তাকে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন শেষে আইসিইউতে রেখে চলে যান। সেখানে আট দিন এবং পরবর্তীতে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শায়লা পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।