জন্মভূমি ডেস্ক : ইয়েমেনে ১৬ মাস আগে অপহৃত বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মী সুফিউল আনামের নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে সশস্ত্র জঙ্গি আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখা। তিনি গুরুতর অসুস্থ ও দ্রুত মুক্ত করাতে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ভিডিওতে আহ্বান জানানো হয়। ইউরোপ ও মার্কিন নাগরিক অপহৃত হলে তাদের সরকার যে ব্যবস্থা নেয়, এক্ষেত্রে কিছুই করা হচ্ছে না জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের এই কর্মী।
অনলাইনে জিহাদি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স সোমবার (১২ জুন) জানিয়েছে, ইয়েমেনে অপহৃত বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মীর ভিডিওটি গত ৩ জুন প্রকাশ করেছে আল কায়েদা। আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (আকপা) প্রকাশিত ভিডিওতে, সুফিউল আলমকে গুরুতর অসুস্থ দেখা যাচ্ছিল এবং কথা আটকে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আরও চারজনের সঙ্গে অপহৃত হই আমি। এখনও আল কায়েদার হাতে আটক। এশিয়ার নাগরিক হওয়ার কারণে অবহেলার শিকার হচ্ছি। আমি জাতিসংঘ এবং আমাদের সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন সঠিক পন্থা অবলম্বন করে আমাকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমার পরিবারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এ ঘটনা মিডিয়ার কাছে তুলে ধরে যেন চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমি ও আমার দুই সহকর্মী খুবই অসুস্থ। জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার প্রথম ভিডিও প্রকাশ করে আল কায়েদা। নিজের জীবন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে জাতিসংঘ জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে জাতিসংঘের একটি ফিল্ড মিশন শেষে ইয়েমেনের এডেনে ফিরছিলেন আনামসহ আরও পাঁচ কর্মী। আনামসহ আরও কয়েকজনকে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। পরে যানা যায়, ওই ঘটনার সঙ্গে আল কায়েদা জড়িত।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুথির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন গত কয়েক মাস ধরে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। সশস্ত্র হুথি এবং সরকারপন্থিদের মধ্যে শান্তি আলোচনার কারণে লড়াই থেমেছে অনেক জায়গায়।