জন্মভূমি ডেস্ক : একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতাই রয়েছে। এরপরও তাদের ওপর কেন আস্থা নেই সেটির ব্যাখ্যা তাঁরাই দিতে পারবেন। স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশনের সেসব ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনেরও একই ক্ষমতা রয়েছে।
আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) পাঁচ দেশের সাবেক ও বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারসহ একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) ব্যানারে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এসওয়াই কোরাইশি বলেন, ‘একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ওপর কেন বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না তার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে। এরপরও বিগত নির্বাচনগুলোর মধ্যে কয়েকটি নির্বাচন একপক্ষীয় ছিল। যার কারণে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইসির কোনো দুর্বলতা রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নে ভারতের সাবেক সিইসি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। এটা তোমাদের (বাংলাদেশের) ইসি ব্যাখ্যা দিতে পারবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভারতের নির্বাচন কমিশনের যে সমস্ত ক্ষমতা আছে, সেই সমস্ত ক্ষমতা তোমাদের নির্বাচন কমিশনেরও আছে।’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কোরাইশি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো দায়িত্ব পালন করে। ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশন সর্বময় ক্ষমতা পায়। কোনো প্রধানমন্ত্রী থাকে না, মুখ্যমন্ত্রী থাকে না, ইসির অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের ইসি ক্ষমতাসীন সরকারকে কার্যত অকার্যকর করে ফেলে, তারা নতুন কোনো স্কিম নিতে পারে না, কাউকে বদলি করতে পারে না। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে।’