
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : নিষিদ্ধ মৌসুমে অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশের অভিযোগে সাত জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগের সদস্যরা। পশ্চিম সুন্দরবনের কাঠেশ^র ও খোবরাখালী খাল থেকে ১৬ জুলাই বুধবার তাদের আটক করা হয়।
এসময় আটককৃত জেলেদের নিকট থেকে প্রায় ছয়শ কেজি কাঁকড়াসহ একশ কেজিরও বেশী মাছ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কাঁকড়া পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার, দুটি নৌকা, মাছ ও কাঁকড়া শিকারের জালসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী জব্দ করে বনকর্মীরা।
আটক জেলেরা হলো শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ইয়াকুব আলী সরদার(৬০), মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের নুরুল ইসলাম গাজীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৪২), মহাব্বত আলী(২৮), আরশাদ মিস্ত্রিরে ছলে মুজিবর রহমান মিস্ত্রি(৫২), আব্দুল বারীর ছেলে জামাল গাজী(৩৫), আব্দুল মাজেদের ছেলে তৌহিদ হোসেন(৩৮), ইলয়াস হগাজীর ছেলে শিমুল হোসেন(৩৫)।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক ফজলুল হক জানান, এখন সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু মানুষ বনকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বনে যেয়ে মাছ বা কাঁকড়া ধরার চেষ্টা করে। নিয়মিত টহলে থাকায় বনকর্মীরা পৃথক অভিযানে কাঁকড়া বহনকাজে জড়িত একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার)সহ দু’টি নৌকা আটক করে।
এসময় তিনটি নৌযান থেকে আটক সাতজনকে বন আইনের পৃথক দুটি মামলায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসময় জব্দকৃত কাঁকড়া নদীতে অবমুক্ত করার পাশাপাশি মাছগুলো বিনষ্ট করা হয়েছে। নিষিদ্ধ মৌসুমে মাছ-কাঁকড়া শিকারের ফলে সুন্দরবনের বিরুপ প্রভাব পড়বে বঔের তিনি নিশ্চিত করেন।