
মাগুরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ
জন্মভূমি রিপোর্ট
মাগুরা সদর উপজেলায় উলিনগর গ্রামে ইটের ভাটার তিন পাশে জনবসতি এবং একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। ফলে ইট পোড়ানোর সময় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ধোয়ার কারণে লেখাপড়া করতে পারে না।
ইট ভাটার পাশে যাদের বসতি রয়েছে তারা কোনভাবেই ধোঁয়ার মধ্যে দিয়ে বসবাস করতে পারছে না। এছাড়া রাস্তা দিয়ে নসিমন, করিমন সহ দশ চাকার ভারী ট্রাকে মাটি ও ইট যাতায়াতের কারণে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। ভাটা ব্যবসায়িরা নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে উত্তোলণ করে ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করে যাচ্ছে। ফলে নদীর ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দী ইউনিয়নের উলিনগর গ্রামে অর্ধযুগ ধরে কয়েকটি অবৈধ ইটের ভাটা দেধারছে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয় হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে।
ভাটা ব্যবসায়ী আঃ সালাম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা তাকে ইটভাটা চালোনার জন্য বলেছে, এছাড়া এখন পর্যন্ত আমাদের কোন কাগজপত্র করা হয়নি।
স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ভাটার মালিকদের রোষানলে পড়তে হয়। আবার পরিবেশ অধিদপ্তর ভাটা জব্দসহ জরিমানা করলেও কোন পরিত্রাণ মেলে না। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আবারও এই ভাটা ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসা চালু করে যাচ্ছে।
কছুন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, অবৈধ এবং যা জনগনের জন্য ক্ষতিকর তার পক্ষে আমি নাই, ইটভাটা বন্ধের জন্য আমি জনগনের সাথে আছি।
পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর জেলার শাখার সহকারি পরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন, এই ইটভাটা এর আগেও আমরা জরিমানা সহ জব্দ করেছি, আমরা মাগুরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে আবারও ব্যবস্থা নিব।