
অভয়নগর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় আমন ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমনে কৃষকরা। পোকা দমনে ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন তারা। অন্যদিকে ৮০ শতাংশ পাকলেই ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা জানান, আক্রমণকারী পোকার নাম বাদামি গাছ ফড়িং। স্থানীয়রা একে ধানের কারেন্ট পোকা বলেন। বিদ্যুতের মতো স্পর্শ করলেই সর্বনাশ, এমন ধারণা থেকেই পোকাটির নাম হয়েছে কারেন্ট পোকা। ধানগাছের নিচের অংশে অবস্থান করে প্রথমে রস চুষে খায়। পরে ধানগাছ লাল বা পোড়া বাদামি রঙের হয়ে যায়। একপর্যায়ে আক্রান্ত ধানগাছ মারা যায়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবুজ ধানগাছের মধ্যে লাল বা পোড়া বাদামি রঙের গাছ রয়েছে। পোকা দমনে কৃষকরা কীটনাশক স্প্রে করছেন।
উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, দুই বিঘা জমিতে আমন লাগিয়েছিলাম। কিন্তু কারেন্ট পোকার আক্রমনে ধানের ক্ষতি হয়েছে। আগে ২০ মণের মতো ধান পেলেও এবার ৫-১০ মণ ধান হতে পারে।
এলাকার অন্য কৃষকরা জানান, কারেন্ট পোকার আক্রমন থেকে উত্তরণে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে। তবে যে গাছে পোকা আক্রমণ করছে, সেগুলো বাঁচানো যাচ্ছে না। এজন্য উৎপাদন কম হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কেনো লাভ হচ্ছে না।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার সাত হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র সাত হেক্টর জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমন করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, কৃষকরা না বুঝেই গাছের উপরের অংশে স্প্রে করছেন। অথচ পোকা নিচের অংশে থাকে। লিফলেট বিলি করে নিচের অংশে কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা তা করছেন না। তবে যাদের ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে তাদের ধান দ্রুত কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।