নওয়াপাড়া অফিস : যশোরের অভয়নগরে প্রতারণা করে এলাকাবাসির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পরিবার নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে এক যুবক। ওই যুবকের নাম মো:ফরহাদ হোসেন রিংকু (৩৬)। সে উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল অভয়নগর থানায় ভুক্তভোগীদের দুই জন অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ হোসেন রিংকু তার হার্ডওয়্যার ব্যবসায় প্রতিবেশি সাইফুল ইসলামকে পাটনার করার কথা বলে ২০২০ সালের ৯ মে দু’দফায় পঁচাত্তর হাজার টাকা নেয় কিন্তু তাকে ব্যবসায়ীক কোন লাভের টাকা দেয়নি, একই এলাকার আব্দুল খালেক এর ছেলে জসিম উদ্দিনকে বছরে ৩৭ মন ধান দেওয়ার কথা বলে ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় সে কিন্তু তাকে ধান বা টাকা কোনটাই ফেরত দেয়নি। সে লাভ দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জল হোসেনের নিকট থেকে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবারে গা-ঢাকা দিয়েছে।
লক্ষীপুর গ্রামের যেয়ে জানা গেছে, ফরহাদ হোসেন রিংকু হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লাখ টাকা। বিল্লাল হোসেন (৭০) জানান, ফরহাদ বিভিন্ন সময় ব্যবসার লাভের কথা বলে একলাখ বিশ হাজার টাকা নিয়েছে এক টাকাও লাভ দেয়নি, একই ভাবে পাঁচ মন ধান দেওয়ার কথা বলে তৈয়ব আলীর নিকট থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে,মাছের ঘেরের মালিক তুহিন হোসেন মল্লিকের একলাখ আশি হাজার টাকা হাতিয়েছে। গ্রামের মানুষ এ ধরনের আরো অনেক অভিযোগ করেছে। ভুক্তভোগীরা সকলে টাকা লেনদেনের কোন প্রমান পত্র নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র দেখান। চুক্তিপত্রে ফরহাদ হোসেন রিংকু ও তার পরিবারের স্বাক্ষর রয়েছে। ফরহাদ হোসেন রিংকুর ভগ্নিপতি সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমার শ্যালক দেনার দায়ে বাড়ি ছেড়ে রাতের আঁধারে নীলফামারি পালিয়ে গেছে। তার কাছে গ্রামের অনেক লোক টাকা পাবে।
অভয়নগর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক রিয়াজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। যার তদন্তভার আমার ওপর পড়েছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্য এ কে এম শামীম হাসান বলেন, এ ঘটনার কোন অভিযোগ আমার কাছে দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।