নওয়াপাড়া অফিস : যশোরের অভয়নগরে যুবলীগনেতা বিএম মুরাদ হোসেন (৩০) কে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে নৃসংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে তার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। তিনি নওয়াপাড়া গ্রামের মোঃ সাহাবুল ইসলাম সাবুর পুত্র ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
্এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম মুরাদ হোসেন রোববার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত, ডান পা কেটে শরীর থেকে বিচিছিন্ন করে ফেলে ও পেটে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে নাড়ী ভুড়ি বের করে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসি এসে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স্রে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।
হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের উদ্যোগে একটি বিক্ষাভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজার থেকে শুরু হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে স্টেশন বাজারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল আহমেদ বাবু। বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা ইউসুব বিশ্বাস, রেজাউল ইসলাম,শেখ সোহেল ও ছাত্রলীগ নেতা কাজী আহাদুর রহমান মামুন। সভায় বক্তরা যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেনের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়।
মুুরাদ হোসেনের পিতা বলেন তার ছেলেকে কারা হত্যা করেছে তা তিনি জানেন না। তিনি ছেলে হত্যার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে দাবি করেছেন।নিহত মুরাদ হোসেনের স্ত্রী ৯ বছর ও ছয় মাস বয়সী দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর মোঃ তালিম হোসেন জানান, মুরাদ হোসেন ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। যারা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আমি হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবী করছি।
৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আব্দুস সালাম শেখ বলেন, রোববার রাতে কে বা কারা আমার অফিস ভাংচুর করেছে তা আমি জানি না।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, মুরাদ হোসেন নামে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে সে মারা যায়। ইতিমধ্যে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এখনো কোন মামলা হয়নি। এ মুহুর্তে হত্যাকান্ডের কারন জানা যায়নি।
অভয়নগরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা প্রতিবাদের বিক্ষোভ
Leave a comment