নওয়াপাড়া অফিস : অভয়নগরে সুব্রত মন্ডল হত্যার ক্লু উদ্ধার হয়নি। হত্যার সাথে জড়িতদের আটক করার জন্য ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহত সুব্রত মন্ডলের লাশের ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তার লাশের শেষকৃত অনুষ্ঠান স্থানীয় দামোখালী মহাশ্মশানে অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সুব্রত মন্ডল হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় শ্মাশানে তার শেষকৃত অনুষ্ঠান চলছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শামীম হাসান বলেন, একটি একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। জেলা পুলিশের সকল সংস্থা ক্লু উদ্ধার ও ঘটানার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত: সুব্রত মন্ডলকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার দামুখালি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এক চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সুব্রত মন্ডল বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময়ে একটি মোটরসাইকেলে দুইজন যুবক এসে তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। গুলি করার সাথে-সাথে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা স্থান ত্যাগ করে। সুব্রত মন্ডলের মাছের ঘের ও পাশাপাশি ভবদহ মৎস্য অবতর কেন্দ্রে তার একটি মাছের আড়ৎ রয়েছে। তার পরিবারে স্ত্রী ও দুইটি ছেলে রয়েছে। এলাকার অনেকে বলেন, সুব্রত মন্ডল নিজেও একজন চরমপন্থী। থানায় তার নামে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েক মাস আগে ফুলতলার বাজার বণিক কল্যণি সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন সুব্রত মন্ডল। কিছুদিন আগে তিনি জেল হাজত থেকে বাড়ি এসেছেন।
ওই একই স্থানে ২০২২ সালের ১ মে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফুলতলার বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক ও নিষিদ্ধ চরমপন্থী দলের সদস্য খন্দকার রফিকুল ইসলাম খুন হয়েছিলেন। সুব্রত ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত