ক্রীড়া প্রতিবেদক : অস্ট্রেলিয়া থেকে ভেসে এলো জয়ের সুসংবাদ। পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে বিসিবি এইচপি দল গতকালই ছিল সুবিধাজনক অবস্থানে। আজ শেষ দিনে দরকার ছিল ৬ উইকেটের। পাকিস্তানের জিততে প্রয়োজন ১৬০ রান। তুমুল লড়াই চলল শেষ পর্যন্ত। আর তাতে বিসিবি এইচপি দল হেসেছে শেষ হাসি। মাহমুদুল হাসান জয়ের দারুণ বোলিংয়ে ভর করে এইচপি দল তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।
বাংলাদেশের জয়ের ভিত পাওয়া গিয়েছিল শাহিনদের প্রথম ইনিংসের শেষেই। ৭৯ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ২৯৬ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৩৬ রান করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলটি, মূলত বাংলাদেশের হাই পারফরমেন্স (এইচপি) দল। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেনি তারা। তবে দুই ইনিংসেই হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয় ও আইচ মোল্লা।
ডারউইনে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রান করেছিল বাংলাদেশ এইচপি। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান শাহীনস। বাংলাদেশ এইচপি দলকে লিড এনে দিতে ৪ উইকেট নেন রিপন মন্ডল, ৩ উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা। হাসান মুরাদ ২ ও মারুফ মৃধা ১ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ এইচপির ২য় ইনিংসেও মাহমুদুল হাসান জয় (৬৫) ও আইচ মোল্লা (৫৮) ফিফটি করেন। এই দুজনের ফিফটির পর ২১৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ এইচপি। পাকিস্তান শাহীনসের জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৯৬। দুই ওপেনার হাসিবউল্লাহ, শাহিবজাদা ফারহান ৯৬ রানের জুটি গড়েন। দুজনই করেন ফিফটি। অবশ্য এখানেই পথ হারায় পাকিস্তান। বিনা উইকেটে ৯৬ থেকে ৭ উইকেটে ২৩০ রানের দলে পরিণত হয় পাকিস্তান শাহীনস।
শেষ ৩ উইকেট হাতে রেখে পাকিস্তান শাহীনসের দরকার ছিল ৬৬ রান। ৮ম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে মোহাম্মদ আলি ও খুররাম শেহজাদ। পরে এই দুজনকে ফেরান মাহমুদুল হাসান জয়। হাসান মুরাদ ফয়সাল শেষ উইকেটে আকরামকে বোল্ড করলে ৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ এইচপি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রান খরচে ৫ উইকেট নেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৩ উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা, বাকি ২ উইকেট যায় হাসান মুরাদের দখলে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত