ক্রীড়া প্রতিবেদক ; ক্রিকেটের বাইশ গজে তীব্রতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলির মধ্যে অন্যতম ভারত বনাম পাকিস্তান। দুই প্রতিবেশী দেশ পৃথিবীর যেই প্রান্তেই মুখোমুখি হোক না কেনো, গ্যালারিতে একটিও ফাঁকা আসন পড়ে থাকে না। কেবল ভারতীয় এবং পাকিস্তানী নাগরিকেরা নন, গোটা বিশ্বের মানুষ চেয়ে থাকেন এই ম্যাচের দিকে। অতীতে এক বিলিয়ন দর্শকের গণ্ডীও পেরিয়েছে ক্রিকেট জগতের এই ‘এল-ক্লাসিকো।’
গত বছর মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ মাঠে বসে দেখেছেন ৯০ হাজারেরও বেশী ক্রিকেট প্রেমী। দুনিয়া জুড়ে এই ম্যাচ নিয়ে তীব্র আকর্ষণ থাকলেও কালেভদ্রেই দেখা হয় দুই দলের মধ্যে। কেবল মাত্র এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের মত বহুদলীয় টুর্নামেন্ট। যা নিয়ে আক্ষেপের অন্ত নেই ক্রিকেটপ্রেমীদের।
২০১২ সালে সর্বশেষ ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান। এর পর থেকে রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের সফর বন্ধ। তবে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে তাদের প্রায়ই দেখা হয়, এবারের বিশ্বকাপেও ১৪ অক্টোবর মুখোমুখি হবে এই দুই দল। তবে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
দুই দেশের দুই রাষ্ট্রনেতা মহাত্মাগান্ধী ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে এই সিরিজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফ। এতে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্কও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড রাজি থাকলে পাকিস্তান এই সিরিজ খেলতে চায়।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গান্ধী-জিন্নাহ ট্রফিতে বছরে একবার ভারত-পাকিস্তান একে অপরের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে খেলবে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমকে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘অ্যাশেজের মতো বিসিসিআইকে জিন্নাহ-গান্ধী ট্রফি আয়োজনের প্রস্তাব রাখছি। এই সিরিজের জন্য ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দেশে গিয়ে খেলতে পারে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের চেয়ে বড় কোনো প্রতিযোগিতা নেই।’
শেষবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ভারত পাকিস্তানে গিয়েছিল ২০০৬ সালে। আর ২০১২ সালে পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল। এরপর আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন হয়নি। দুই দেশ একে অপরের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছে শুধু বহুজাতিক আসরেই।