
জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজ হত্যা মামলায় তার চতুর্থ স্ত্রী সুলতানা পারভীন চুমকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই পলাশ চন্দ্র অধিকারী চুমকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান। মঙ্গলবার খুলনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সুনন্দ বাগচী ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাজিবাছা নদীর পাশ থেকে আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন নাহার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি প্রথমে নৌ-পুলিশ তদন্ত করে। এ মামলায় আগস্টে নওরোজের চতুর্থ স্ত্রী সুলতানা পারভীন চুমকিকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ। এসময় তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার নথি পিবিআইর কাছে পাঠানো হলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এসআই পলাশ চন্দ্র রায়কে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এসআই পলাশ চন্দ্র রায় জানান, ১৯৯০-৯২ সালে নওরোজের প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি জেসমিন নাহারকে বিয়ে করেন। এরপর হেনা বেগম নামের এক নারী নিজেকে লুৎফুল কবির নওরোজের তৃতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। কিন্তু তার কাছে বিয়ের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, গত জুন মাসে সুলতানা পারভীন চুমকিকে বিয়ে করেন নওরোজ। বিয়ের আগে আইনজীবী নওরোজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন ওই নারী। মামলাটি আপসের জন্যই তিনি চুমকিকে বিয়ে করেছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানান।
এসআই পলাশ জানান, মামলার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।