জন্মভূমি ডেস্ক : রাজধানীর সব ফ্লাইওভার থেকে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটে ফ্লাইওভারের দেয়ালে পোস্টারিং ও দেয়াল লিখন বন্ধে তদারকি কমিটি গঠনে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর সব ফ্লাইওভার থেকে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক দেয়াল লিখন, ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। ওই রুলের বিষয়ে শুনানি হয়েছে। ওই রুলের বিষয়ে শুনানি শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্যে ৩০ অক্টোবর তিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মহানগরকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা জরিমানা করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। কোর্ট এ সময় বলেন, সরকার কোটি-কোটি টাকা ব্যয় করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছেন। যদি দেখভালের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালত আরো বলেন, অনেক সময় দেখি হেঁটে-হেঁটে ফ্লাইওভার পার হচ্ছেন অনেকে। যে গতিতে গাড়ি ছোটে সেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
এ সময় আদালত বলেন, যারাই অনিয়ম করবে, আইন ভাঙবে তাদের ওপর অন্য দেশের মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা জরিমানা করতে হবে। তাহলেই আইন লঙ্ঘনকারীরা সোজা হয়ে যাবেন। যেমনটা বিদেশে, অন্যান্য দেশে হয়ে থাকে। সেখানে কেউ আইনভঙ্গ করলে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে সবাই আইন মেনে চলেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত