
এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সামান্য কারণেই খুনের ঘটনা ঘটছে। মানুষের মধ্যে অস্থিরতাও বেড়ে গেছে। মামুলি বিষয় নিয়ে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। অনেকটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে অপরাধ।
গত এক সপ্তাহে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুলনার ফুলতলায় ভ্যান কেড়ে নিতে চালককে হত্যা ও পুলিশ কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগ করা হয়েছে। লবণচরা এলাকায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক যুবককে। বাগেরহাটে টয়লেটের ট্যাংকি থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার ও স্বামী আটক হয়েছে। যমোওে জ¦ীনের বাদশা চক্রের ৩সদস্য আটক। খুলনার বটিয়াঘাটায় হাপ প্যান্ট পরে খেলার অপরাধে নারী ফুটবল খেলোয়াড়দের উপর হামলা।
শরীয়তপুরে সদর উপজেলা থেকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে ভাড়াটিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন বাড়িওয়ালাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বরগুনা সদরে দুই শিশুকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের সখিপুরে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামে দুই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
এসব ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে দেশে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে হবে। সমাজের কিছু মানুষ দিন দিন অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠায় অপ্রীতিকর ঘটনা বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা ততই কঠিন হয়ে পড়বে। কাজেই এখন থেকেই অপরাধ দমনে কঠোর হতে হবে।