জন্মভূমি রিপোর্ট
নগরীতে ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মসুচীতে পুলিশের বাঁধা। এই ঘটনায় সদর থানার দুই এস আই মোমিনুল ও মেহরাবকে ক্লোজ করে কেএমপিতে নিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলছেন পুলিশের সাথে ভুল বোঝাবুঝি থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমাধান হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারী খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। যার অংশ হিসাবে ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বুধবার নগরীর হেলাতলা থেকে শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হেলাতলা হয়ে থানার মোড় হয়ে সোসাইটির মোড়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু’র কুশপুত্তলিকার পোড়ানো ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু থানার মোড়ে জ্যাম থাকায় কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের আগে সমাবেশ শুরু করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন চারপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছরিয়ে পরে। এ সময় পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
নগর আওয়ামী লীগের নেতা ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অনুমতি নেন কর্মসুচী পালনের। তারপরও ঐখানে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাদের নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। পরে অবশ্য এটি ভুল হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় খুলনা সদর থানার এস আই মোমিনুল ও মেহরাবকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ। তিনি বলেন এ দুজন এস আই যাচাই বাছাই না করে সমাবেশে বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।