
জন্মভূমি ডেস্ক : অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে গেছে।
এই আঘাতের মাধ্যমে বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুর রহমান জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। রোববার বিকাল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করে ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে দুর্বল হলেও ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে প্রচণ্ড গতিবেগে বাতাস বইছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটারে (প্রতি ঘণ্টায়) উঠেছিল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই উপপরিচালক।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়া শুরু করেছে মিয়ানমারে। রোববার দেশটির রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। ওই সময় বাতাসের গতি এত বেশি ছিল যে একটি আস্ত মোবাইল টাওয়ার বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে।