
যশোর প্রতিনিধি : দ্রোহের কবি নাঈম নাজমুল (নাঈমুল হাসান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ) ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় যশোর জেলার তৎকালীন নড়াইল মহকুমার ১২ নম্বর বিছালী ইউনিয়নের চাকই গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যক্ষ কবি এম এম নাজমুল হক, মাতা হাচিনা বেগম। দাদার নাম জিতু মোল্লা, কবির পরদাদা আ. জব্বার মোল্লা ছিলেন একজন প্রখ্যাত জারি গানের বয়াতি। সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নেয়া কবি নাঈম নাজমুল ইংরেজি সাহিত্যে সম্মানসহ এম এ এবং বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে ওসিএলএসডি হিসেবে কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ কর্মরত আছেন।
কবি দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন পিতার হাত ধরে লেখা লেখি শুরু করেন। তিনি আই এ প্রথম বর্ষের ছাত্রাবস্থায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন। বিটিভি এবং খুলনা বেতারের তালিকাভুক্ত একজন গীতিকার। তিনি অসংখ্য কবিতা ও গান লিখেছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘আসন্ন হাহাকার’ (একুশে বইমেলা ২০১১),’ ‘তারপর পর একদিন ‘ বইমেলা ২০১৫, ‘গন্তব্যহীন পৃথিবীর পথে ‘(একুশের বই মেলা ২০২১)। তিনি ২০১৮ সালে সিংগাড়ী আঞ্চলিক গ্রন্থাগার, অভয়নগর যশোর গুণীজন সাহিত্য পদক পেয়েছেন।
তিনি ‘বাংলাদেশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি’ অভয়নগর যশোর এর সভাপতি, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ কবি এম এম নাজমুল হক স্মৃতি জনকল্যাণ গ্রন্থাগার’ চাকই, বাশুয়াড়ী, নড়াইল এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, ইতিহাস সম্মিলনী যশোর জেলা শাখার সহ-সভাপতি, নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট লাইব্রেরি অভয়নগরের আজীবন সদস্য, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ (বিএসপি)র সদস্য, কৃষ্টিবন্ধন যশোরের উপদেষ্টা, অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদ যশোরের উপদেষ্টা, অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি, কবি মধুসূদন পদ্মনাভ ফাউন্ডেশন ঝিকরগাছার উপদেষ্টা, চারণকবি সাইফুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ নড়াইলের উপদেষ্টা।
বর্তমানে তিনি বৃহত্তর যশোরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করছেন। কবির জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও তার দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।

