By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: আজ থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস মেলা শুরু
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > আজ থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস মেলা শুরু
তাজা খবরসাতক্ষীরা

আজ থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস মেলা শুরু

Last updated: 2024/11/14 at 12:47 PM
স্টাফ রিপোর্টার 8 months ago
Share
SHARE

শ্যামনগর প্রতিনিধি : সুন্দরবনের দুবলার চরের আজ ১৪ ই নভেম্বর থেকে রাস মেলা শুরু, চলবে ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত। মুলত মেলাটি হয় রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন ইতিহাস থেকে থেকে এই মেলা ও রাস উৎসবে উদযাপন সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাওয়া গেছে। কেহ বলতে চাই ২০০ বছর ধরে এই রাশ মেলা চলে আসছে। আবার কেহ বলে ৫০০ বছর ধরে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস পুজা/ রাস মেলা চলে আসছে। ২০২০ সালের আগে এই মেলাকে বলা হত ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সে কারণে এই রাস মেলাই সব ধর্মালম্বিদের মিলন মেলাই লাখ লাখ মানুষের ঢল নামত। কিন্তু বন বিভাগ ও ইতিহাস বিদ রা বলতে চায় এই রাস মেলার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু শিকারিরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাঘ হরিন শিকারে মেতে উঠে। সে কারণে ২০২০ সাল থেকে শুধু মাত্র সনাতন ধর্মালম্বিদের প্রবেশ ছাড়া অন্য সব ধরমের মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তারই আলোকে এ বছর শুধু সনাতন ধর্মের লোকেরা সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস মেলায় যাবে। রাস মেলা উপলক্ষে সুন্দরবনে বন বিভাগ, নৌ পুলিশ , র‍্যাব, পোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনি ও সেনা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর ১ সপ্তাহ আগ থেকে সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ অধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিস্তারিত নিম্নে উল্লেখ আছে, সবাই পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকুন। সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসব। ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। শুক্লপক্ষের চাঁদের আলোয় শোভিত নিরব সুন্দরবন চরাঞ্চল সরব হয়ে উঠবে পূণ্যার্থীদের পূজা ও আরাধনায়। দূর্গম সাগর-প্রকৃতির অভাবমায় সৌন্দর্য্যরে মাঝে পূর্ণ্য অর্জন আর সঞ্চার যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। কার্তিক-অগ্রহায়ণে শুক্লপক্ষের ভরাপূর্ণিমা সাগর উছলে ওঠে। চাঁদের আলোয় সাগর-দুহিতা দুবলার চরে আলোর কোল মেতে ওঠে রাস উৎসবে।
রাসলীলা বা রাসযাত্রা সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বাৎসরিক উৎসব। রাস মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। ভগবান কৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্ত্বিক রসের সমৃদ্ধ কথাবস্তুকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে পরমাত্মায়, দৈনন্দিন জীবনের সুখানুভূতিকে আধ্যাত্মিকতায় এবং কামপ্রবৃত্তিসমূহকে প্রেমাত্মক প্রকৃতিতে রূপ প্রদান করে অঙ্কন করা হয়েছে।
শ্রীকৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্ত্বিক রসসমৃদ্ধ কথা বস্তুকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে পরমাত্মায় রূপান্তরিত করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ উৎসব পালন করে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর এলাকায় পূর্ণিমার জোয়ারে স্নান করে, যাতে তাদের সব পাপ মোচন হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পাশে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে রাসমেলা উৎসব।
রাসমেলা এবং পূণ্যস্নানের জন্যও দুবলার চর দ্বীপটি বিখ্যাত। ভয়ঙ্কর সুন্দর সুন্দরবন। সুন্দরবনে শুধুমাত্র বাঘের ভয় নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগও প্রাণ কেড়ে নেয়। ভয়-আতঙ্ক, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্য দিয়েই উপকূলীয় মানুষের মনে গড়ে উঠেছে উপকথা, পৌরাণিক কল্পকাহিনী রাসমেলা। প্রতিবছর সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যে রাস উৎসব হয়ে থাকে, তার পেছনেও রয়েছে এমন এক পৌরাণিক বিশ্বাস। রাস উৎসব মূলত হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি বার্ষিক উৎসব। যদিও বর্তমানে এটা একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষের দিকে অথবা অগ্রহায়ন মাসের প্রথম দিকের ভরা পূর্ণিমার সময় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন-এ দুবলার চর। দুবলার চর বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি চর হিন্দুধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলার জন্য বহুল পরিচিত। কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে এটি একটি বিচ্ছিন্ন চর। এই চরের মোট আয়তন ৮১ বর্গমাইল।
আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয় এবং মেহের আলির চর নিয়ে দুবলার চর গঠিত। দুবলার চর মূলত জেলে পল্লী। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শোকানোর কাজ। শীত মৌসুমে বহু জেলে চার পাচ মাসের জন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা থেকে দল বেঁধে সাময়িক বসতি গড়ে সেখানে। মেহেরআলীর খাল, আলোরকোল, মাঝেরচর, অফিসকেল্লা, নারিকেলবাড়িয়া, মানিকখালী, ছাফরাখালী ও শ্যালারচর ইত্যাদি এলাকায় জেলে পল্লী স্থাপিত হয়। এটির অবস্থান মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের দক্ষিণে, সমুদ্রের কোল ঘেঁষে এবং কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি দ্বীপ যা চর নামেও পরিচিত। এই চার পাঁচ মাস তারা মাছকে শুঁটকি বানাতে ব্যস্ত থাকেন।
এখান থেকে আহরিত শুঁটকি চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জ ও রংপুর পাইকারী বাজারে মজুদ ও বিক্রয় করা হয়। সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের সদর দপ্তর বাগেরহাট থেকে মাছ সংগ্রহের পূর্বানুমতিসাপেক্ষে বহরদার ও জেলেরা দুবলার চরে প্রবেশ করে থাকেন।
হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা পূর্ণিমার জোয়ারের নোনা পানিতে স্নান করে পবিত্রতা অর্জন করার জন্য সেখানে গমন করেন। তাদের বিশ্বাস, এই স্নান তাদের পাপ মোচন করে মনের সকল উত্তম কামনা পূর্ণ করবে। প্রতিবছর কার্তিক মাসে রাস পূর্ণিমায় দুবলার চরে রাসমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা উপলক্ষে স্থানীয় দর্শনার্থীরা ছাড়াও বহু দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে ভিড় করে। অসংখ্য ভক্তবৃন্দ এই মেলায় পূন্য অর্জনের জন্য সমুদ্র স্নান করে থাকে। খোল-করতাল, নাম সংকীর্তনের হরিধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে চারদিক। এই মেলার আরেকটি আকর্ষণ হলো, চিরাচরিত মনিপুরি পোশাকে শিশুদের রাখাল নাচ ও তরুণীদের রাসনৃত্য।
তিনদিনব্যাপী দুবলার চরের রাসমেলা সত্যিই অবর্ণনীয়। তথ্যমতে জানা গেছে, রাস উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয়ভাব ধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্ত্বিক রসের সমৃদ্ধ কথা বস্তুকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে পরমাত্মায় রুপান্তরিত করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ উৎসব পালন করে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা বঙ্গপসাগরের চর আলোর কোল এলাকায় বসে পূর্ণিমার জোয়ারে স্নান করে, যাতে তাদের সকল পাপ মোচন হয়ে যায়।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের প্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার ছেড়ে বৃন্দাবনে সমবেত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করলেও গোপিনীরা তা অস্বীকার করেন। শ্রীকৃষ্ণের সংস্পর্শ পেয়ে গোপিনীদের মনে অহং জন্মায়। তাদের মন অহংপূর্ণ হওয়ায় শ্রীকৃষ্ণ অন্তর্হিত হন। পরে গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শ্রীকৃষ্ণের স্তব করা শুরু করেন।
এরপর শ্রীকৃষ্ণ ফিরে আসেন এবং গোপিনীদের কাছে জীবনের পরমার্থ বোঝান। তিনি গোপিনীদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে জাগতিক ক্লেশ থেকে মুক্ত করেন। এই ভাবেই রাশ উৎসবের প্রচলন ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনের কথা আমরা প্রত্যেকেই শুনেছি। তবে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এবং গিরিশচন্দ্রের পরবর্তী সময়কালে বাংলায় রাস উৎসব আরও জনপ্রিয় হয়। তবে কেবল পশ্চিমবঙ্গেই যে ধূমধাম করে রাসযাত্রা উদযাপিত হয় তা কিন্তু নয়, পাশাপাশি বৃন্দাবন, মথুরা, ওড়িশা, অসম, মণিপুরেও আড়ম্বরের সঙ্গে রাস উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবের মূল বিষয় রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা হলেও, অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন রীতিতে রাস পূর্ণিমা পালিত হয়।
যদিও, রাস-লীলা নিয়ে বেশকিছু মত প্রচলিত আছে। এর মধ্যে বহুল জনপ্রিয় দু’টি মত। এই দুই মতেই কেন এই রাস-লীলা তার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। কথিত আছে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর শ্রীকৃষ্ণ পাপমোচন ও পূর্ণলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। এই থেকেই শুরু হয় রাস উৎসব। আবার অন্য মতাবলম্বীদের মতে, দুর্গাপূজার পর পূর্ণিমাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে লীলায় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আর সেই থেকেই কার্তিক মাসের পূর্ণিমাতে রাস-লীলা পালিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাসমেলা এবং পূণ্যস্নানের জন্যও দ্বীপটি বিশ্বখ্যাত। যদিও বলা হয়ে থাকে, ২০০ বছর ধরে এ রাসমেলা হয়ে চলেছে, তবে জানা যায়, ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে হরিচাঁদ ঠাকুরের এক বনবাসী ভক্ত, নাম হরিভজন ১৯২৩ সালে এই মেলা চালু করেন। প্রতিবছর অসংখ্য পুণ্যার্থী রাসপূর্ণিমাকে উপলক্ষ করে এখানে সমুদ্রস্নান করতে আসেন।
দুবলার চরে রাস উৎসবের আয়োজন কীভাবে শুরু হলো- তা নিয়ে বহুজনের বহু মত পাওয়া যায়। মতভেদ রয়েছে এটি কবে শুরু হলো, সেটি নিয়েও। কেউ কেউ বলে থাকেন, আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে এই উৎসবটি শুরু হয়েছিল। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন, তারও বহু আগে এ উৎসবটি শুরু হয়েছে। অর্থাৎ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে কীভাবে শুরু হয়েছিল- এ নিয়ে লোকমুখে নানা পৌরাণিক কাহিনী শুনতে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন পুস্তকাদিতে যেসব বর্ণনা পাওয়া যায়, সেসবও মূলক এসব লোককথার লেখা রূপ মাত্র। ১৯১৪ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত সতীশচন্দ্র মিত্র রচিত যশোহর-খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে এরূপ একটি উপাখ্যান উল্লেখিত আছে। অনেকদিন আগের কথা, বঙ্গদেশে ধনপতি নামের সওদাগর ছিল। নামের সাথে তার কাজেও মিল ছিল। তিনি প্রকৃত পক্ষেই একজন ধনপতি ছিলেন।
তার নিবাস ছিল খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রামনগরে। সেই ধনপতি একদিন সমবিহারে সিংহল যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখতে পান, সমুদ্রের ওপর ফুটে রয়েছে এক মোহনীয় পদ্মফুল। আর সেই পদ্মের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন অপরূপ এক দেবী। সওদাগর দেবীদর্শনের পর এ ঘটনা খুলে বলেন সিংহলের রাজা শালিবাহার আর তার মন্ত্রী গজাননের কাছে। বর্ণনা শুনে রাজা সওদাগরকে বললেন, এ তো দেবী কমলকামিনী। আমরা তার পূজা করি। কিন্তু তার দর্শন আমরা কোনদিন পাইনি। রাজা দেবী দর্শনের জন্য সমুদ্রে নাও ভাসালেন।
কিন্তু দেবী কমলকামিনীর দর্শন আর মেলে না। রাজা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সওদাগরকে বন্দী করে রাখলেন। এদিকে সওদাগর সমুদ্রযাত্রায় বের হওয়ার আগে স্ত্রী খুল্লনার গর্ভে একটি পুত্রসন্তান রেখে যান। কিছুদিন পর সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় শ্রীমন্ত। বড় হয়ে শ্রীমন্ত তার মায়ের কাছে জানতে পারেন, তার বাবাকে সিংহল রাজা শালিবাহার অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে।
শ্রীমন্ত তার বাবাকে মুক্ত করার জন্য সিংহলের দিকে রওনা দিলেন। যাত্রাপথে সে-ও পিতার ন্যায় পদ্মের ওপর দেবী কমলকামিনীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। সিংহল পৌঁছে শ্রীমন্তও পিতার ন্যায় রাজাকে এ ঘটনা খুলে বললেন। রাজা শ্রীমন্তকেও মিথ্যবাদী অপবাদ দিয়ে বাবার মতো বন্দী করে রাখলেন। এমনকি তাদের দু’জনকেই মৃত্যুদ- প্রদান করলেন। এবার কার্যকর করার পালা। একদিন বলিকাঠে পিতা-পুত্রকে শোয়ানো হলো। জল্লাদ খড়গ দিয়ে মাথা ফেলে দেবে এখনই। এমন সময় অদৃশ্য দেবী কমলকামিনী দৃশ্যমান হলেন। তিনি বৃদ্ধার বেশে এসে রাজার কাছে পিতা ও পুত্রের জীবনভিক্ষা চাইলেন। সিংহল রাজা সহসা দেবীকে চিনতে পারলেন এবং নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। ফলে পিতা-পুত্রকে মুক্ত করে দিলেন।
শুধু তা-ই নয়, তিনি তার রূপসী কন্যাকে সওদাগরের ছেলের সাথে বিবাহ দিয়ে ধন-রতœ ও মণি-মুক্তা বোঝাই করে বঙ্গদেশে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে হঠাৎ সমুদ্রে গর্জন শুরু হলো। সওদাগরের তরী ডুবে গেল। এমন সময় দেবী কমলকামিনী পদ্মে ভেসে এসে তাদের উদ্ধার করে কুঙ্গা নদের মোহনায় পৌঁছে দিয়ে ফের অদৃশ্য হয়ে যান। এই কুঙ্গার তীরই হচ্ছে দুবলার চর। আর সেদিন ছিল রাস পূর্ণিমা তিথি। এরপর থেকেই কুঙ্গা নদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দুবলার চরে মা কমলকামিনীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মা কমলাকামিনী ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর চেহারার অধিকারী। এজন্যই সুন্দরী মেয়েদের বলা হয় কমলাসুন্দরী।
সুন্দরবনের এই দুবলারচরটি বিভিন্ন কারণে খ্যাতি লাভ করেছে। শীত মৌসুমের শুরুতে হাজার হাজার জেলে দলে দলে এই চরে মাছ ধরতে এসে অস্থায়ী আবাস গড়ে তোলে। জেলেরা দিনভর সাগরে মাছ ধরে সন্ধ্যায় আগেই তারা ফিরে আসে। চরে মাছ শুকিয়ে তারা শুঁটকি মাছ তৈরি করে। এ দৃশ্যও অত্যন্ত মনরম ও উপভোগযোগ্য।
সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ। সুন্দরবনের গহীন অরণ্যের পার্শ্বে সাগরের মাঝে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। যা যে কোন কারো মনকে রূপময় করে তুলে। এই সাগরস্নাত সুন্দরবনের মধ্যে অপূর্ব সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানের নাম দুবলারচর। ধু-ধু বালুকাময় এই চর সংলগ্ন বনে শত শত চিত্রা হরিণের অবাধ বিচরণ এবং অন্যাদিকে সমুদ্রের তরঙ্গমালার হাতছানি যে কোন পর্যটককে বিমুগ্ধ ও আনমনা করে তোলো।

স্টাফ রিপোর্টার November 14, 2024
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article কালিয়ায় বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণ
Next Article আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেওয়া অবৈধ ছিল: হাইকোর্টের রায়
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

কালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৩

By করেস্পন্ডেন্ট 7 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

মহররমের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ইসলামি ঐতিহ্য

By করেস্পন্ডেন্ট 7 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

ভোমরা বন্দরে ৫ মাসে ৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি

By করেস্পন্ডেন্ট 8 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

কালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ৩

By করেস্পন্ডেন্ট 7 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

মহররমের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ইসলামি ঐতিহ্য

By করেস্পন্ডেন্ট 7 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

ভোমরা বন্দরে ৫ মাসে ৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি

By করেস্পন্ডেন্ট 8 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?