By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: আট বছরে ৫০০ নারীকে পাচার করেছে টিকটকার রাফি
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জাতীয় > আট বছরে ৫০০ নারীকে পাচার করেছে টিকটকার রাফি
জাতীয়

আট বছরে ৫০০ নারীকে পাচার করেছে টিকটকার রাফি

Last updated: 2021/06/02 at 12:07 AM
করেস্পন্ডেন্ট 4 years ago
Share
SHARE

জন্মভূমি রিপোর্ট

সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে দুই দেশেই বেশ আলোচনা সমালোচনা চলছে। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের তথ্য বেরিয়ে আসে। এই চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল মÐল ওরফে বস রাফিসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব দাবি করছে, আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফি (৩০) গত আট বছরে ৫০০ নারীকে ভারতে পাচার করেছেন। ওই ৫০০ নারীকে পতিতাবৃত্তির কাজে পাচার করা হয়। মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

চক্রের গ্রেফতার বাকি চার সদস্য হলেন- রাফির অন্যতম নারী সহযোগী সাহিদা বেগম ম্যাডাম সাহিদা (৪৬), মো. ইসমাইল সরদার (৩৮) ও মো. আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান শেখ (২৬)।

র‌্যাব জানায়, এই চক্রে ৫০ জনের বেশি সদস্য রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে কাজ করে বস রাফি নারীদের ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। রাফির চক্রে যারা দালাল ছিল তারা এসব মেয়েকে বলত-সেখানে (ভারতে) তারা স্মার্টলাইফ লিড করছে। ভিডিও কলে বিভিন্ন বিলাসী জীবন-যাপনের কথাও বলত। টিকটক হৃদয় ছাড়াও তার অন্যান্য এজেন্ট দেশে কাজ করত। এছাড়া রাফির সঙ্গে নারী সহযোগী হিসেবে ম্যাডাম সাহিদা ও তার দুই মেয়ে কাজ করতেন। এর মধ্যে র‌্যাব সাহিদাকে গ্রেফতার করেছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, টিকটক হৃদয় অনলাইনে টিকটক ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া গ্রুপের তরুণীদের টিকটক মডেল বানানো এবং অন্যান্য প্রলোভন দেখিয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবনে আকৃষ্ট ও অভ্যস্ত করাত। তাদেরকে পাশের দেশে বা উন্নত দেশে বিভিন্ন মার্কেটে, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বস রাফির মাধ্যমে পাচার করা হতো। অবৈধ উপায়ে তাদেরকে সীমান্ত পার করে নেয়া হতো। পাচারের পর তাদেরকে বিভিন্ন নেশা করিয়ে জোরপূর্বক অশালীন ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করত।

রাফি চক্রের মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক নারীকে পাচার করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীর ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরাও সবাই বাংলাদেশি। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার (৩১ মে) রাত থেকে চলা অভিযানে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। যশোরের অভয়নগর ও বেনাপোল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলো, চক্রের মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফুল মÐল ওরফে বস রাফি ও তার অন্যতম নারী সহযোগী সাহিদা বেগম, ইসমাইল সরদার, আব্দুর রহমান শেখ ওরফে আরমান শেখ। তারা চার জন মিলে গড়ে তুলেছে ভয়ংকর এক পাচার চক্র। এই চক্রটি ভারতে নারী পাচার করে তাদের যৌন ব্যবসায় বাধ্য করতো।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকালে কাওরানবাজার মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেশ কয়েকটি ধাপে নারী পাচারের কাজ করতো চক্রটি। ভিকটিমদের বৈধ বা অবৈধ উভয় পথেই সীমান্ত অতিক্রম করানো হতো। তারা কয়েকটি ধাপে পাচার করতো। প্রথমত, ভিকটিমদের তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সীমান্তবর্তী জেলা, যেমন-যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ নিয়ে আসতো। এরপর ভিকটিমকে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সেফ হাউজে নিয়ে রাখা হতো। সেখান থেকে সুবিধাজনক সময়ে লাইনম্যানের মাধ্যমে অরক্ষিত এলাকা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করানো হতো। পার্শ্ববর্তী দেশের এজেন্টরা তাদের সীমান্ত নিকটবর্তী সেফ হাউজে রাখতো। সুবিধাজনক সময়ে কলকাতার সেফ হাউজে প্রেরণ করা হতো। কলকাতা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বেঙ্গালুরু পাঠানো হতো তাদের। বেঙ্গালুরু পৌঁছানোর পর গ্রেফতারকৃত বস রাফি তাদের বিভিন্ন সেফ হাউজে রাখতো। এরপর ব্লাকমেইল ও মাদকাসক্তে অভ্যস্ত ও অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হতো। সেফ হাউজগুলো থেকে তাদের ১০/১৫ দিনের জন্য বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে পাঠানো হতো। এক্ষেত্রে পরিবহন ও খদ্দেরের নির্ধারিত স্থানে অবস্থানের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হতো।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতারকৃত রাফি একসময় এ ধরনের পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ছিল। রাফি তামিল ভাষা রপ্ত করেছিল। ফলে এ ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। একপর্যায়ে সে লিডার হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশের এজেন্ট তাকে খদ্দেরপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা কমিশন দিতো।

কে এই বস রাফি

বস রাফির শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি। ৮ বছর আগে থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে তার যাতায়াত শুরু হয়। সে সেখানে ট্যাক্সি ড্রাইভার, রিসোর্ট কর্মচারী হিসেবে ও কাপড়ের ব্যবসা করতো। ৫ বছর ধরে সে নারী পাচারে জড়িত। দুই বছর আগে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে তার পরিচয়। টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক তরুণীকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করেছে বস রাফি। টিকটক হৃদয় ছাড়াও তার অন্যান্য এজেন্ট রয়েছে।

সম্প্রতি ভারতে এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই তরুণীকে ভারতে পাচার করে টিকটক হৃদয়। বস রাফি তাকে গত বছরের অক্টোবরে বেঙ্গালুরে নিয়ে সবুজের বাড়ির সেফ হাউজে রাখে। সেখানেই ভিডিওটি ধারণ করা হয় বলে জানা যায়। বেঙ্গালুরে বস রাফির বেশ কয়েকটি সেফ হাউজ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তার সেফ হাউজ রয়েছে। এরমধ্যে ম্যাডাম সাহিদার সেফ হাউজ অন্যতম।

যেভাব ‘বস’ রাফির সঙ্গে কাজ করতো ‘ম্যাডাম’ সাহিদা

বস রাফির অন্যতম নারী সহযোগী ম্যাডাম সাহিদা। তার তিনবার বিয়ে হয়েছিল।  সে এবং তার দুই মেয়ে সোনিয়া ও তানিয়া বর্ণিত পাচার চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও সক্রিয়ভাবে জড়িত। সোনিয়া ও তানিয়া বর্তমানে বেঙ্গালুরে অবস্থান করছে বলে গ্রেফতারকৃত সাহিদা জানায়। ভাইরালকৃত ভিডিওতে তানিয়াকে সহযোগী হিসেবে দেখা গিয়েছে। সাহিদা বাংলাদেশ এলাকায় একটি সেফ হাউজ পরিচালনা করছে। সে এই ব্যবসায় ১০ বছর ধরে জড়িত। এছাড়া গ্রেফতারকৃত ইসমাইল ও আব্দুর রহমান শেখ  বস রাফির বিশেষ সহযোগী হিসেবে পাচার তদারকি করে থাকে। তারাও নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত।

সা¤প্রতিক সময়ে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশের এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ রিফাজুল ইসলাম বাবু ওরফে টিকটক বাবু ওরফে হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও দুই নারীসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা ২৭ মে রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার আইন ও পর্নোগ্রাফি অ্যাক্টে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় টিকটিক বাবুসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়। উক্ত ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব উক্ত ঘটনা ছায়াতদন্ত শুরু এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

করেস্পন্ডেন্ট June 2, 2021
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article একনেকে ৫২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
Next Article শোকাবহ জুন
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
সাতক্ষীরা

ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা

By করেস্পন্ডেন্ট 5 hours ago
সাতক্ষীরা

জলবায়ুর প্রভাব পড়েছে উপকূলীয় মানুষের চেহারায়

By করেস্পন্ডেন্ট 6 hours ago
সাতক্ষীরা

১ লা জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের বিএলসি নবায়ন

By করেস্পন্ডেন্ট 8 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

জাতীয়তাজা খবর

হাসিনার শাসনের লুটপাটের থিমে নতুন পোস্টার প্রকাশ

By করেস্পন্ডেন্ট 13 hours ago
জাতীয়

দেশজুড়ে অভিযানে এসএমজিসহ গ্রেফতার ১৫৪২

By করেস্পন্ডেন্ট 14 hours ago
জাতীয়

টানা পাঁচ দিন বৃষ্টি হতে পারে, ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

By করেস্পন্ডেন্ট 15 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?